রাজশাহী: এবারের সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে অর্থ-বিত্ত-বৈভবে এগিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পায় বাংলানিউজ।
আরও জানা গেছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম কামিল পাস। তিনি নগরের একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। হলফনামায় তিনি শিক্ষকতা পেশার কথা গোপন করেছেন। ধর্মীয় আলোচক ও টিউশনিকেই নিজের পেশা বলে উল্লেখ করেছেন। বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে মুরশিদ আলমের হাতে নগদ আছে ১২ লাখ টাকা। আছে ১০ ভরি স্বর্ণ ও একটি মোটরসাইকেল। এছাড়া তেমন কোনো সম্পদ নেই। মুরশিদ আলম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি। নির্বাচনে তিনি হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন নিজ দলের প্রতীকে লড়বেন। হলফনামায় তার পেশা উল্লেখ আছে ব্যবসা। মৌসুমি পণ্য বেচা-কেনা করেন তিনি। বাৎসরিক আয় মাত্র তিন লাখ টাকা। হাতে আছে নগদ তিন লাখ টাকা। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫০ হাজার টাকা। আছে ১০ ভরি স্বর্ণ। ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র আছে ৮০ হাজার টাকার। কৃষিজমি আছে সাড়ে চার বিঘা আর অ-কৃষি জমির পরিমাণ ১২ শতক। স্ত্রী ও পরিবারের অন্য কারও নামে কোনো সম্পদ নেই। তিনি স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মাত্র।
জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার এলএলএম পাস। তিনি পেশায় আইনজীবী। তার পেশা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। হাতে নগদ আছে মাত্র এক লাখ। ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র ছাড়া অন্য কোনো ধরনের সম্পদ নেই লতিফ আনোয়ারের। তিনি জাকের পার্টির ছাত্রফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীরা নিজেদের হলফনামায় ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশিত করার পাশাপাশি তাদের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাবও জমা দিয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে রাসিক নির্বাচন। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১ জুন। এরই মধ্যে মেয়র পদে চার প্রার্থীর ছাড়াও ১১৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ৪৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এসএস/এমজে