ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

লক্ষ্মীপুর থেকে আবু খালিদ

‘লিগ্যাল ভোট হইলেই খুশি’

আবু খালিদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
‘লিগ্যাল ভোট হইলেই খুশি’ ছবি : দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ ও রামগতি থেকে: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
 
রামগঞ্জেও লড়াই হবে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির।

তবে রামগতিতে হবে ত্রিমুখী লড়াই।
 
সব মিলিয়ে এ তিন পৌরসভায় মেয়র পদে লড়াইটা জমবে বলেই মনে হচ্ছে। এসব নির্বাচনী এলাকার চায়ের দোকান, রাস্তার মোড়ে ভোটের বাকযুদ্ধ ও খোশগল্পে মেতে উঠেছেন ভোটাররা। মাঝরাত পযর্ন্ত চলছে ভোটের আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ।
 
কে কতো ভোট পেতে পারেন, কোন কাউন্সিলরের প্রতীক কী হতে পারে- এমন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন এসব পৌরসভার ভোটাররা।
 
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ও শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সরেজমিনে রায়পুর, রামগঞ্জ এবং রামগতি পৌরসভার ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। এ সময় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
 
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রায়পুর পৌর এলাকায় প্রবেশ করতেই দেখা গেলো কোথাও জটলা বেধে, কোথাও বা চায়ের দোকানে চলছে ভোটকে কেন্দ্র করে নানা আড্ডা-আলাপ।
 
কাকে ভোট দেবেন- তা আগেই বলতে চান না রায়পুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মনির ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের গৌর সুন্দর। তারা বলেন, ‘ভালো লোকেরে ভোট দিমু। লিগ্যাল ভোট হইলেই আমরা খুশি’।
 
কাঁচামাল ব্যবসায়ী রুনু মিয়া ও রহিম বাদশাও ব্যবসার কাজ শেষে ফিরে নির্বাচনের আলাপ করছিলেন। তারা বললেন, ‘অনেকদিন পর ভোটের আমেজ আইছে। এইবার এই পৌরসভায় নির্বাচনে মেয়র পদে চরম লড়াই হইবো’।   
 
ভোটাররা জানান, এ পৌরসভায় কোনো দলেই বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। ফলে ভোটযুদ্ধ জমে উঠবে। দলের মধ্যেই যদি প্রতিপক্ষ থাকে, তখন লড়াইটা অন্যরকম হয়ে যায়। তাই এবারে লক্ষ্মীপুর জেলার তিন পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থীদের লড়াই জমবে।
 
এ পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে প্রচারণা শুরু না হলেও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা দল বেধে ঠিকই বৈঠক সেরে নিচ্ছেন। শুধু মেয়র প্রার্থী নয়, কাউন্সিলর প্রার্থীরাও আলোচনায় স্থান পাচ্ছেন।
 
পাশের পৌরসভা রামগঞ্জেরও একই অবস্থা। এ পৌরসভার ভোটাররাও নির্বাচনের আগে মুখ খুলতে চান না। কাকে ভোট দেবেন- এ বিষয়টি গোপন রাখতে চান, কথার ফাঁকে এমনটাই বুঝিয়ে দিলেন তারাও।
 
রায়পুর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ২১১ জন। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৩৬৯ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ৮৪২ জন নারী ভোটার। আর রামগঞ্জ পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন ২৯ হাজার ৫১৬ জন।    
 
এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন এসব পৌরসভার অধিকাংশ ভোটার।
 
গত পৌর নির্বাচনে রায়পুর পৌরসভায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ উভয় দল থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এবার দুই দলের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দু’জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আছেন ইসমাইল খোকন ও বিএনপির প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র এ বি এম জিলানী।
 
রামগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের পাটোয়ারি ও বিএনপির প্রার্থী রোমান হোসেন পাটোয়ারি। আর রামগতি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র পদের প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও বিএনপির শাহেদ আলী পটু এবং জাতীয় পার্টির আজাদ উদ্দিন চৌধুরী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
একে/আরএম/এএসআর

** সংকটে বিএনপি, ফাঁকা মাঠে আ’লীগের গোল!
** ভোটের আগেই ভোট শেষ, এক লাখ ভোটার বঞ্চিত!
** আ’লীগ ‘দুই’ বিএনপি ‘দুই’, জাপা শূন্য
** মার্কা আইলেই মাঠ গরম
** রসুলপুরে দু’ঘণ্টা আটকে থেকে ছাড়লো কর্ণফুলী এক্সপ্রেস
** জনগণে জনগণে একটা আলোচনা আছে না!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।