ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ৩০ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী। যারা মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভোটেই ভাগ বসাবেন বলে মনে করছেন খোদ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
মনোনয়পত্র প্রত্যাহার শেষে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সমন্বয় করে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার তৈরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০টি দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৬৫০ জন। তবে আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আরো দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেড়ে ৬৫২ হয়েছেন বলে জানান ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান।
আর স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন ২৭১ জন; যা মোট প্রতিদ্বন্দ্বীর ২৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
এদিকে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ছয় প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হয়েছেন। তারা হলেন- পিরোজপুর পৌরসভায় হাবিবুর রহমান মালেক, জামালপুরের মাদারগঞ্জের মির্জা গোলাম কিবরিয়া (কবির) ও টুঙ্গীপাড়ার শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জা। এছাড়া ফেনী সদরে হাজি আলাউদ্দীন, পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদ উল্লাহও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
কোন দলের কতো প্রার্থী
নির্বাচনে ২০টি দল ৬৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিয়েছে। এদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সংখ্যা ১ জন, জাতীয় পার্টি-জেপির ৬ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৪ জন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৩৪ জন, বিএনপির ২২০ জন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ৭ জন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের ১ জন, জাতীয় পার্টির ৭৩ জন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২০ জন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের ১ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র ১৭ জন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি-পিডিপির ১ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ১ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ১ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫৬ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩ জন, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন ও খেলাফত মজলিশের ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন জানান, মেয়র পদে মোট ১ হাজার ২১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯২৩ জন প্রার্থী।
এটি দেশের নবম পৌরসভা নির্বাচন। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম পৌরসভা নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৭৭ সালের ১৩ আগস্ট, ১৯৮৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৯ সালের ২৮ জানুয়ারি, ১৯৯৩ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচন হয়। ২০০৪ সালের ৫ মে থেকে ১০ মে দেশব্যাপী ১১৫ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ২৬৯ পৌরসভার নির্বাচন হয়েছিল।
এবার ২৩৪ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ভোটগ্রহণ হবে। এতে মেয়র পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৮টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫/আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা
ইইউডি/জেডএস
** সকল ধরনের মিছিল-শোডাউন নিষিদ্ধ