ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

সিলেটের ১৬ পৌরসভা

আ’লীগ ১১, আ’লীগ বিদ্রোহী ২, বিএনপির ৩ প্রার্থী জয়ী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
আ’লীগ ১১, আ’লীগ বিদ্রোহী ২, বিএনপির ৩ প্রার্থী জয়ী

ঢাকা: সিলেটের ১৬ পৌরসভার সবগুলোর ফলাফল জানা গেছে। বেসরকারি এ ফলাফলে বেশিরভাগ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলানিউজ পাঠকদের কাছে পৌরসভাগুলোর বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরা হলো।

সিলেট 

সিলেটের তিন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে দু’টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় মোবাইল ফোন প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল জব্বার ৪ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারিকেল গাছ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুর রহমান লিপন ২ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

কানাইঘাট পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জয়ী হয়েছেন। নারিকেল গাছ প্রতীকে ৩ হাজার ৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লুৎফুর রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৯১ ভোট।

ভোট গণনা শেষে নিজাম উদ্দিনকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন কানাইঘাটের রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদুর রহমান।

অপর পৌরসভা জকিগঞ্জে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমান এক হাজার ৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিবদুর রহমান পেয়েছেন এক হাজার ৭১ ভোট।

ভোট গণনা শেষে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মো. আলামিন বেসরকারিভাবে খলিলুর রহমানকে জয়ী ঘোষণা করেন।

সিলেটের তিনটি পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৬ হাজার ৪২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২৩ হাজার ৪৩ জন ও পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৩৮৬ জন। এ তিন পৌরসভায় ২৭টি কেন্দ্রে ১৩০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চার পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি আওয়ামী লীগের, একটি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে মৌলভীবাজার সদর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও বড়লেখা রির্টানিং কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

মৌলভীবাজার সদরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ফজলুর রহমান ১৩ হাজার ৬৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রির্টানিং অফিসার মাসুকুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী ওলিউর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৫০ ভোট।

কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগ (নৌকা) মনোনীত মেয়র প্রার্থী জুয়েল আহম্মদ ৩ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী জাকারিয়া হাবিব নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৮০৪ ভোট।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রির্টানিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভোট গণনা শেষে বাংলানিউজকে এ তথ্য ‍জানান।

কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শফি আলম ইউনূছ ৪ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে কামাল উদ্দিন পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬৪ ভোট।

ভোট গণনা শেষে রির্টানিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুর আকন্দ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

বড়লেখায় আওয়ামী লীগ (নৌকা) মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু ইমাম কামরান চৌধুরী ৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খিজির আহমেদ মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৫৭৭ ভোট।

রির্টানিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ভোট গণনা শেষে বাংলানিউজকে এ তথ্য ‍জানান।

মৌলভীবাজারের চার পৌরসভায় (সদর, বড়লেখা, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ) ৮১ হাজার ৯২৩ জন ভোটার। এর মধ্যে ভোটারের মধ্যে ৩৯ হাজার ৬৩৫ জন নারী ও ৪২ হাজার ২৮৮ জন পুরুষ। চার পৌরসভায় ৪১টি কেন্দ্রে ২৩৭টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়।

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের চার পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

সুনামগঞ্জ সদর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আয়ুব বখত জগলুল ১৪ হাজার ৮৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দেওয়ান গণি উল সালাদীন পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৬ ভোট।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ৮টায় সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোশারফ মিয়া ৭ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মঈন উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৯৫ ভোট।

রাত পৌনে ৮টায় দিরাই পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

ছাতক পৌরসভা নির্বাচনে  মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরী ১০ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে  বেসরকারিভাবে হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহিদ মজনু পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬২ ভোট।

রাত ৯টায় ছাতক পৌরসভা নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বেসরকারিভাবে কালামকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।

জগন্নাথ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল মোনাফ নৌকা প্রতীকে ৯ হাজার ৩২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি মনোনীত রাজু আহম্মদ ৫ হাজার ৬৯১ ভোট পেয়েছেন।

পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের ৫ পৌরসভায় মেয়র পদে তিনটিতে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পাঁচ পৌরসভার মধ্যে হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ ও চুনারুঘাটে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি দু’টি মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।

হবিগঞ্জ সদর পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী জিকে গউছ ১০ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মিজানুর রহমান মিজান নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ২৬৪ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা শফিউল আলম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ছাবির আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে ৫ হাজার ৬২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৩ ভোট।

ভোট গণনা শেষে নবীগঞ্জ পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

চুনারুঘাট পৌরসভায় ৪ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী নাজিমুদ্দিন সামছু।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত সাইফুল ইসলাম রুবেল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭২১ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মাসহুদুল করিম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

এদিকে, মাধবপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত হীরেন্দ্র লাল সাহা নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়দ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে হাবিবুর রহমান মানিক ৪ হাজার ৮৪৮ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

আর শায়েস্তাগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত সালেক মিয়া নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৯৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়দ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে ফরিদ আহম্মেদ অলি ৩ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আশফাকুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
বিএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।