ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

১০ হাজারে ফর্ম বিক্রি উপজেলা আ.লীগে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
১০ হাজারে ফর্ম বিক্রি উপজেলা আ.লীগে

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তোলার আগেই কিনতে হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের ফর্ম। আর প্রতিটি ফর্ম বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলে রয়েছে উল্লাপাড়ার ১৩টি ইউনিয়ন। ১৪ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয় ফর্ম বিক্রি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ফর্ম কিনেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের সিস্টেম কোথাও নেই। কিন্তু উল্লাপাড়াতে এভাবেই ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছে। ১০ হাজার টাকার নিচে কাউকে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না। ফর্ম না নিলে প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে না। ফলে বাধ্য হয়ে ফর্ম কিনছেন প্রার্থীরা।

উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম ফিরোজ ও বড় পাঙ্গাসী ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক ১০ হাজার টাকায় ফর্ম কেনার কথা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

হাটিকুমরুল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও দলের ফর্ম কিনতে যাইনি। কেন্দ্রে প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর জন্য এই ফর্ম বিক্রি হচ্ছে। ’

দূর্গানগর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, ‘উপজেলা থেকে কেন্দ্রে তালিকা পাঠানোর জন্য প্রার্থীদের কাছে ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছে। খরচের জন্য কিছু টাকা নিচ্ছে। তবে এটার কোনো নিয়ম নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। ’

ফর্ম বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দলের ফান্ড গঠন করতে হবে। জেলা ও উপজেলার দুস্থ কর্মীদের সাহায্য করতে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এ টাকা থেকে ঢাকায় যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচ করা হবে। ’

তবে ফর্ম বিক্রির বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়সাল কাদির রুমি। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘ফর্ম বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এমপি’র সঙ্গে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে ব্যস্ত ছিলাম। ’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘দলের ফর্ম তৈরি ও ঢাকায় যাতায়াত খরচের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টোকেন মানি নেওয়া যেতে পারে। ১০ হাজার টাকা করে আদায়—এটা বেশি। এটা যদি নেওয়া হয়, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।