ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

দৌলতখানের ৭ ইউপিতে ৩৩ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
দৌলতখানের ৭ ইউপিতে ৩৩ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ...

ভোলা: ভোলার দৌলতখান উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

এর মধ্যে একটি ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি ৬টিতে হচ্ছে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো উপজেলা।

দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এসব ইউনিয়নের মধ্যে ৬৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- মদনপুর ইউনিয়নে ৪টি, মেদুয়া ইউনিয়নে ৪টি, চরপাতা ইউনিয়নে ৬টি, দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নে ৬টি, চর খলিফা ইউনিয়নে ৬টি, ভবানীপুর ইউনিয়নে ৩টি এবং উত্তর জয়নগরে ৬টি কেন্দ্র। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মাঠ থাকবে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। এছাড়া থাকবে স্টাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।  

দৌলতখান উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৩টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ভোটগ্রহণের আগে বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একাধিক সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটনায় ইউনিয়নগুলোতে ভোটারদের মাঝে অনেকটা আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

তবে সাধারণ ভোটাররা চাচ্ছেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হোক। অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।  

সূত্র জানিয়েছে, দৌলতখান উপজেলার ৭ ইউপিতে মোট ২৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৯৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৬ জন। একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোট হবে হাড্ডাহাড্ডি এমনটাই মনে করছেন ভোটাররা।  

একাধিক ভোটার জানান, গণসংযোগ নিয়ে গত কয়েকদিন কয়েক দফা সংঘর্ষ-সংঘাত, হামলা-পাল্টা হামলা ও সহিংসতা হয়েছে। এতে এখনো ইউনিয়নগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই ভোটের দিন কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত তারা।  
 
এ বিষয়ে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, জনগণের ভয়ের কোনো কারণ নেই। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।  

জেলা নির্বাচন অফিসার আলা উদ্দিন আল মামুন জানান, ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখানে একটিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। নির্বাচনী এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।