মরমি শিল্পী আবদুল আলীমের ৯২তম জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই)। ১৯৩১ সালের এই দিনে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তাকে স্মরণ করে বৈশাখী টিভি ফোক লাইভে অংশ নেবেন মরমী শিল্পী আবদুল আলীমের তিন সন্তান আজগর আলীম, জহির আলীম ও নূরজাহান আলীম। কিছু শেকড় সন্ধানী গান নিয়ে শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে হাজির হবেন গুণী এই তিনশিল্পী ।
তারা বলেন, আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা এখনো তিনি আমাদের গাইবার শক্তি দিয়েছেন। দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তাদের ভালো লাগা বাবার গাওয়া কিছু গান গাইব বৈশাখী টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বৈশাখী ফোক অনুষ্ঠানে। গানগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। গানগুলো তাদের ভালো লাগলেই আমাদের পরম পাওয়া।
আইনুন পুতুলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন লিটু সোলায়মান। প্যানেল প্রযোজক মামুন আব্দুল্লাহ ও রবিউল হাসান প্রধান।
প্রসঙ্গত, আধ্যাত্মিক ও মরমী মুর্শিদী গানের জন্য অমর হয়ে আছেন আবদুল আলীম। লোক সঙ্গীতে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘যার আপন খবর আপনার হয় না’, ‘নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা’, ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘হলুদিয়া পাখী’, ‘মেঘনার কুলে ঘর বাঁধিলাম’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘দোল দোল দুলনি’, ‘দুয়ারে আইসাছে পালকি’, ‘কেনবা তারে সঁপে দিলাম দেহ মন প্রাণ’, ‘মনে বড় আশা ছিল যাবো মদীনায়’ কেহ করে বেচা কেনা কেহ কান্দে’, ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা’ প্রভৃতি।
সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আবদুল আলীম বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- একুশে পদক, পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার। পাকিস্তান মিউজিক কনফারেন্স, লাহোরে সঙ্গীত পরিবেশন করে আব্দুল আলীম পাঁচটি স্বর্ণ পদক পেয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে সম্মানিত করে। এছাড়া ১৯৯৭ সালে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এনএটি