ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

জীবন সমুদ্রের শত সহস্র স্রোত পেরিয়ে ৮০ বছরে আবুল হায়াত

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪
জীবন সমুদ্রের শত সহস্র স্রোত পেরিয়ে ৮০ বছরে আবুল হায়াত

নেই কোনো বিতর্ক কিংবা ব্যর্থতার সিলমোহর! তার জীবনের পরতে পরতে পরিপূর্ণ প্রশংসা-প্রাপ্তি আর ভালোবাসা। তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াত।

বরেণ্য এই অভিনেতার জন্মদিন শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর)। ১৯৪৪ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন তিনি। জীবনের সমুদ্রে শত সহস্র স্রোত পেরিয়ে এবারে তিনি ৮০ বছরে পা রাখলেন।

জন্মদিন নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই আবুল হায়াতের। পরিবারের সদস্যরাই ঘরোয়াভাবেই কাটবে। বিকেলে এই অভিনেতার জন্মদিন উদ্‌যাপন করবে টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ।  

জন্মদিন নিয়ে আবুল হায়াত বলেন, জন্মদিন নিয়ে কখনোই আমার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা থাকে না। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। এদিন আমার নাতনি শ্রীষার জন্মদিন। ১২টা বাজলেই আমি ফোন করি, তারাও আমাকে ফোন করে। এ ছাড়া রাত থেকেই আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফোন করে, খুদে বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানায়।

এ মাসের শেষ দিকে প্রকাশ হবে আবুল হায়াতের আত্মজীবনী ‘রবি পথ’। জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশের ইচ্ছা থাকলেও সময়স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তিন শতাধিক পৃষ্ঠার বইটি লিখতে আবুল হায়াতের সময় লেগেছে ১০ বছর।

আত্মজীবনীতে নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। রবি পথের প্রচ্ছদ করেছেন তার বড় মেয়ে অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত। প্রকাশ হবে সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে।

প্রসঙ্গত, আবুল হায়াতের জন্ম ১৯৪৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে চাকরি জীবন শুরু করলেও এক বছর পর ১৯৬৯ সালে অভিনয়ে নাম লেখান তিনি।

‘ইডিপাস’ নামের নাটক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেক হয় আবুল হায়াতের। এরপর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন এ অভিনেতা।  

অভিনয়ের বাইরে নির্মাতা আবুল হায়াতের বেশ সুনাম রয়েছে। এর বাইরে লেখক হিসেবেও সফল তিনি। তার লেখা প্রথম উপন্যাস ‘আপ্লুত মরু’ প্রকাশ হয় ১৯৯১ সালের বই মেলায়। এরপর ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’, ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’ ও ‘জিম্মি’ বইগুলো লিখেছেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে আবুল হায়াতের দুই মেয়ে বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াত। দুজনেই শোবিজের মানুষ। বিপাশার স্বামী তৌকীর আহমেদও একজন নন্দিত অভিনেতা-নির্মাতা। এছাড়া নাশাতার স্বামী শাহেদ শরীফ খানও জনপ্রিয় অভিনেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।