ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

‘চলচ্চিত্রে কাজের মান বাড়াতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারব’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
‘চলচ্চিত্রে কাজের মান বাড়াতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারব’ টেজাব আয়োজিত চলচ্চিত্রবিষয়ক সংলাপ।

ঢাকা: ‘সিনেমা সত্য জানার প্রশস্ত একটি পথ। সেই সিনেমা এখন ভয়াবহ দিকে রূপ নিচ্ছে।

দেশের প্রেক্ষাপটে নানা প্রতিবন্ধকতা ভেবে আমরা যদি থেমে থাকি তাহলে আমাদেরই ক্ষতি। কারণ পুরো বিশ্বে সিনেমা কিন্তু থেমে নেই। বাংলাদেশে টিভি নাটক আগের তুলনায় অনেক কম। তাই বলে নাটক কি বন্ধ হয়ে গেছে? এখন ইউটিউবসহ ওটিটির নানা মাধ্যম এসেছে। সঙ্গে বাজেটও বেড়েছে। সেগুলোতে শিল্পী-কলাকুশলীরা কাজের সুযোগ পাচ্ছে। এটা সত্য, সংস্কৃতি তার পথ খুঁজে নেয়। কিন্তু আমাদের কাজের মান বাড়ছে না। চলচ্চিত্রে আমরা যদি কাজের মান বাড়াতে পারি তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছতে পারব। ’

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির চিত্রশালায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টেজাব) আয়োজিত চলচ্চিত্রবিষয়ক সংলাপে এ কথা বলেন অভিনেতা তারিক আনাম খান।

টেজাবের সভাপতি নাজমুল আলাম রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় ‘চলচ্চিত্রের চাঁদমারি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রবন্ধ পাঠ করেন চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু।

সংলাপে তারিক আনাম খান বলেন, আমরা যদি ভারতীয় শিল্পীদের কথা বলি তাহলে রাজনীকান্তের কথা বলতেই হয়। কীভাবে তিনি এই বয়সেও কাজ করে চলেছে। তাদের নিয়ে গল্প হচ্ছে। সেগুলো গল্প আবার সুপারহিট তকমা পাচ্ছে। এখনো তার সিনেমা দেখার জন্য ভোর চারটায় মানুষ লাইন ধরে টিকিট কাটছে। কী আছে সেই সিনেমায়? আমাদের এমন জায়গা তৈরি করতে হবে।

সংলাপে অতিথি ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সিনেপ্লেক্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খালেদ আহমেদ শাম্মি, রায়হান রাফি, গিয়াস উদ্দিন সেলিম আরিফুর রহমান (সদস্য, চলচ্চিত্র বিষয়ক জাত পরামর্শক কমিটি, নির্মাতা ও প্রযোজক) তিতাস জিয়া (অভিনেতা, শিক্ষক, সদস্য- পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি), মো. মনিরুজ্জামান খান (নির্বাহী প্রকৌশলী, বিএফডিসি)।

দেশে সিনেমার মার্কেট আছে শত কোটি টাকার। যেসব সিনেমা হল চালু আছে, সেগুলোতে যদি টানা দুই মাস যদি মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ভালো চলে তবে শত কোটি টাকা ব্যবসা করা সম্ভব বলে বলে মনে করেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।
তিনি বলেন, ফিল্মে কিছু পলিসি আছে এগুলো অতি দ্রুত চেঞ্জ করা উচিত। যদি চেঞ্জ করা যায়, তবে যেকোনো সিনেমা মোটামুটিভাবে রেভিনিউ তুলে আনা সম্ভব। গল্পের প্রয়োজনে অনেক ভায়োলেন্স বা সত্যটা দেখাতে গেলে সেটা দেখানো যায় না। নতুন যে সার্টিফিকেশন বোর্ড হয়েছে আগের থেকে এখানে কি কি পার্থক্য এবং ‘ল’ আছে সে বিষয়গুলো ভালোভাবে জানানো উচিত।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সিঙ্গেল স্ক্রিন আছে সেগুলোতে কত টাকা টিকিট বিক্রি হচ্ছে তা ঠিকঠাক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে পাহারা দেওয়ার জন্য আরেকজন প্রতিনিধি পাঠাতে হয়। এতে করে সরকার ঠিকভাবে ট্যাক্স পাচ্ছে না। সরকার যদি বক্স অফিস ও ই-টিকেটিং ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে সঠিক ট্যাক্স পাবে এবং আমরা ব্যবসা করতে পারব।

প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, সরকার প্রতিবছর ২০ কোটি টাকা সিনেমায় অনুদান দিচ্ছে। এটা বন্ধ করে তিনটি সিনেপ্লেক্স করে দেওয়া উচিত। এতে ইন্ডাস্ট্রি টিকবে। যেভাবে অনুদান দেওয়া হয় এতে ইন্ডাস্ট্রির লাভ হয় না। পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনার নিয়মগুলো চেঞ্জ করা উচিত। এতে করে বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলো দিয়েই আমরা অতীতে দেখেছি দর্শকের দল নেমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
এনএটি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।