বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অচলাবস্থা কাটাতে কিংবা সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির প্রধান আহ্বায়ক ছিলেন কিংবদন্তি নাট্যজন মামুনুর রশীদ। দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই ‘কাজের পদ্ধতিগত সংঘাতের’ কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে আহ্ববায়ক কমিটি।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামুনুর রশীদ। তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
গেল ২৫ অক্টোবর ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ সভায় অভিনেতা-নির্দেশক মামুনুর রশীদকে প্রধান করে ফেডারেশন পুনর্গঠন ও সংস্কারের জন্য পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, আহমদ ইকবাল হায়দার, নাদের চৌধুরী ও নাজনীন হাসান চুমকি।
আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মলয় ভৌমিক গণমাধ্যমে বলেন, ফেডারেশনের সাধারণ সভায় এই আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল, এখন সদস্যদের কাছেই আমরা অব্যাহতি চেয়েছি। কারণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কাজের জায়গাটা আমাদের মিলছে না।
এই নাট্যজন আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি যখন করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল ফেডারেশন পূর্ণগঠনের জন্য সব সিদ্ধান্ত আহ্বায়ক কমিটিই নেবে। আর রুটিনমাফিক কাজ করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকেও রাখা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি মূলত আহ্বায়ক কমিটিকে সহায়তা করার কথা। কিন্তু এখন কাজের পদ্ধতিগত কিছু সংঘাত তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আহ্বায়ক কমিটির পক্ষে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করছি।
কথাগুলো মামুনুর রশীদের অব্যাহতিপত্রেও রয়েছে। যেখানে শেষে তিনি লেখেন, তাকেসহ আহ্বায়ক কমিটির বর্তমান সদস্যদের বাদ দিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
তিনি মনে করেন, ফেডারেশনকে সুন্দর ও সুচারুভাবে পরিচালনার পথ অনুসন্ধান করা উচিত।
উল্লেখ্য, গেল ২৫ অক্টোবর ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ সভায় স্থায়ী সদস্য ২৩২টি নাট্যসংগঠনের মধ্যে ১৯১টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সভায় সবার সম্মতিতে ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য লাকী ইনামকে। পাশাপাশি সংস্কারের জন্য মামুনুর রশীদকে প্রধান করে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
এনএটি