গেল নভেম্বরে হঠাৎ করেই সামাজিকমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এ আর রহমান। দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে স্ত্রী সায়রা বানুর থেকে আলাদা হওয়ার কথা জানান অস্কারজয়ী এ সংগীতশিল্পী।
এবার গুঞ্জন, বিচ্ছেদ ঘোষণার পরই কাজ থেকে বিরতি নিচ্ছেন এর আর রহমান। তবে এ বিষয়ে মুখ খুললেন শিল্পীকন্যা খাতিজা।
এর আর রহমানের একটি পোস্ট শেয়ার করে জানানো হয়, এ আর রহমান সঙ্গীত জগতের কাজ থেকে এক বছরের বিরতি নিচ্ছেন। তার সুরের জাদু মিস করবেন বলেও জানান নেটিজেন। এতেই ক্ষিপ্ত হন খাতিজা। পোস্টটি শেয়ার করে রহমানকন্যা লেখেন, ‘দয়া করে এ ধরনের আজেবাজে গুজব ছড়াবেন না। ’
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে তাদের সংসারে। ধুমধাম করে খাতিজার বিয়ে দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী।
কিন্তু ২০ নভেম্বরের রহমান যখন ডিভোর্স ঘোষণা করেন, ঠিক তার পরই তার সহ-শিল্পী মোহিনী দে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে নানা গুঞ্জন রটে। সেই সময় এ আর রহমানের বড়কন্যা রহিমা নিন্দুকদের একহাত নিয়েছিলেন।
তিনি লেখেন, সবসময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায় যারা হিংসা করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়া খবর, রটনাগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি, নিজের চরকায় তেল দিন।
সামাজিকমাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করে মোহিনীও তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি লিখেছিলেন, রহমান তার বাবার মতো। রহমান নিজেও আইনি নোটিশ শেয়ার করেন। কয়েক পাতার সেই নোটিশের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যারা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন তারা অবিলম্বে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সরিয়ে ফেলেন, তা নাহলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪
এনএটি