অনেক জনপ্রিয় গান আছে যেগুলোর কথাকে চিকিৎসকদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মেডিক্যালের অর্থহীন ভাষা মনে হবে। এসব গানের অর্থ মেডিক্যালের ভাষায় ব্যাখ্যা করলে না হেসে পারবেন না! আগামী ৩ মে বিশ্ব হাসি দিবস।
* ‘দিল সে’ (১৯৯৮) ছবির গান ‘জিয়া জ্বলে জান জ্বলে, রাতভর ধুয়া চলে’। এর অর্থ- মন জ্বলছে আত্মা পুড়ছে, চোখ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কারও এমন মনে হলে চিকিৎসকরা বলে থাকেন জ্বর এসেছে!
* ‘ওমকারা’ (২০০৬) ছবির গান ‘বিড়ি জ্বালাইলে জিগার সে পিয়া, জিগার মা বড়ি আগ হ্যায়’। এর অর্থ হলো- এ হৃদয়ের উত্তাপ দিয়ে সিগারেটে আগুন ধরিয়ে দাও। এমন কোনো রোগী পেলে চিকিৎসকরা বলে দেবেন- নিশ্চিত অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন!
* ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (১৯৮৭) ছবির গান ‘বিজলী গিরানে ম্যায় হু আয়ি, কেহতে হ্যায় মুঝকো হাওয়া হাওয়াই’। এর অর্থ- বজ্রপাত ঘটাতে এসেছি, আমাকে তারা বলে হাওয়াইয়ের হাওয়া। চিকিৎসকদের ভাষায় এটাকে বলে গ্যাস!
* ‘আতি নাহি’ ছবির গান ‘আতি নাহি, আতি নাহি’। এর অর্থ আসে না, আসে না। রোগীরা একথা বললে চিকিৎসকরা ধরে নেবেন তিনি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন!
* ‘দেবদাস’ (২০০০) ছবির গান ‘ডোলা রে ডোলা রে, ডোলা মান ডোলা’। এর অর্থ- আমি দুলছি, আমি দুলছি, দুলছে মন দুলছে। এমন রোগীদের ব্যাপারে চিকিৎসকরা নির্ঘাত ধরে নেবেন, ঝিমুনি রোগে ধরেছে!
* ‘দ্য ট্রেন’ (১৯৭০) ছবির গান ‘গুলাবি আঁখে জো তেরি দেখি’। এর অর্থ- তোর গোলাপি যে চোখ দেখেছি। চিকিৎসকদের কাছে এটা হলো নেত্রবর্ত্মকলাপ্রদাহে ভোগা।
* ‘ইস রাত কি সুবাহ নাহি’ (১৯৯৬) ছবির গান ‘চুপ তুম রহো, চুপ হাম রাহে’। এর অর্থ- তুমি চুপ থাকো, আমিও চুপ থাকি। কোনো রোগী এমন কথা বললে চিকিৎসকরা বলে থাকেন মস্তিষ্কে জটিলতার কারণে মনের কথা বলা ও বোঝার সামর্থ্য হারিয়েছেন তিনি।
* ‘দিল হ্যায় কি মানতা নাহি’ (১৯৯১) ছবির গান ‘মুঝে লাগা ইশক দা রোগ’। এর অর্থ- ত্বকে প্রেমের রোগ লেগেছে। রোগীরা এমন কথা জানালে চিকিৎসকরা ধরে নেবেন একাধিক ভাইরাল রোগ ত্বকে ফোসকা ফেলেছে অথবা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করছে!
* ‘আনাজানা আনজানি’ (২০১০) ছবির গান ‘তুঝে ভুলা দিয়া’। এর অর্থ- তোকে ভুলে গেছি। কারও এমন হলে চিকিৎসকরা বলেন স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেছে!
* ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ (১৯৯৯) ছবির গান ‘তাড়াপ তাড়াপ কে ইস দিল সে আহ নিকালতি রাহি’। এর অর্থ- খোঁচা লেগে লেগে এই হৃদয় থেকে নিঃশ্বাস সরে যাচ্ছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেই এমন লক্ষণ দেখা যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
* ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ (১৯৯৮) ছবির গান ‘কেয়া কারু হায়ে কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। এর অর্থ- কী করবো, কিছু কিছু হচ্ছে। এমন হলে চিকিৎসকরা ধরে নেবেন রোগীর বমি বমি ভাব আছে।
* ‘দিল’ (১৯৯০) ছবির গান ‘মুঝে নিন্দ না আয়ি’। এর অর্থ আমার ঘুম আসে না। এটাকে অনিদ্রা রোগ বলে থাকেন চিকিৎসকরা।
* ‘কোই মিল গ্যায়া...’ (২০০৩) ছবির গান ‘ইধার চালা ম্যায় উধার চালা, জানে কাহা ম্যায় কিধার চালা’। এর অর্থ- এদিকে যাচ্ছি, আবার ওদিকে যাচ্ছি। জানি না কোথায় যাচ্ছি। এমন রোগীরা একাধিক কাঠিন্যে ভুগছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা করে থাকেন।
* ‘বাজিগর’ (১৯৯৩) ছবির গান ‘বাতানা ভি নাহি আতা, ছুপানা ভি নাহি আতা’। এর অর্থ- বলা যাচ্ছে না, লুকানোও যাচ্ছে না। এমন অসুবিধার কথা চিকিৎসককে জানালে তিনি ধরে নেবেন, পাইলস বা অর্শ্বরোগে ভুগছেন রোগী।
বাংলাদেশ সময় : ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫