ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

রাজ্জাককে নিয়ে প্রিন্স মাহমুদের কবিতা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
রাজ্জাককে নিয়ে প্রিন্স মাহমুদের কবিতা রাজ্জাক ও প্রিন্স মাহমুদ

নায়করাজ রাজ্জাক আমাদের এক অহংকারের অধ্যায়। ষাট ও সত্তর দশকে তিনিই ছিলেন দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের কান্ডারী।

৫০ বছরের সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে পাঁচশ’রও বেশি চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে। সুদীর্ঘ পথযাত্রায় এখনও তিনি উজ্জ্বল, স্বতন্ত্র এবং অনন্য।

কিংবদন্তি এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন সংগীতশিল্পী প্রিন্স মাহমুদ। এর শিরোনাম ‘হে নায়করাজ’। গতকাল শনিবার (২৪ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এটি পোস্ট করেছেন তিনি। এরই মধ্যে কবিতাটি সংগীতাঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

মিশ্র অ্যালবামের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম সফল সুরকার-সংগীত পরিচালক ধরা হয় প্রিন্স মাহমুদকে। এসব অ্যালবামের জন্য বাবা, মা, বুবু, শিক্ষক- এমন অনেক বিষয়ে গান তৈরি করে প্রশংসিত হয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। রাজ্জাককে নিয়ে লেখাটি নিয়েও ভালো সাড়া পাচ্ছেন তিনি। জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী এই কবিতাকে গানে রূপান্তর করবেন বলে আশা করছেন সংগীতপ্রেমীরা। তবে তিনি এ বিষয়ে আপাতত কিছু ভাবছেন না বলে জানালেন বাংলানিউজকে।  


প্রিন্স মাহমুদের কবিতাটি বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো এখানে-
হে নায়ক রাজ...

কে তুমি ? প্রজন্ম কি জানে ?
তোমার পরে কাউকে গুণতে হলে ১ এর পর সমস্তটাই খালি, কিচ্ছু দেখা যায় না
১০১ থেকে শুরু করা যেতে পারে।

কিং লিয়ার, গড-ফাদারকে
আমাদের মতো করে,
কেউ ভাবেনি কখনো, কেন?
যখন তুমি ৫০’র পরে

অথচ রবার্ট ডি নিরো, মার্লন ব্রান্ডো যে সময়ে আসেন অন্য মাত্রায়,
উৎপল দত্ত, উত্তম, অমিতাভ কে নিয়ে ভাবে ওদের পরবর্তী প্রজন্ম।
তোমায় নিয়ে একটা নায়ক বা জলসাঘর হয়নি কেন?
তবে কি এখানে কেউ ছিলোনা?
অথবা সময় ছিলোনা সময়ের মতো।

প্রশ্নটা রইলো,
উত্তর তোমাকেই দিতে হবে এমন নয়।
তবে এ কথা সত্যি তুমি শুধু নিজের নও,
নও তোমার পরিবারের, হে সম্রাট-
হে সাদা-কালোয় সম্পূর্ণ রঙিন ‘পাগলা রাজা’ আমাদের।
তুমি ‘রংবাজ’, তুমি ‘বেইমান’,
‘বাদী থেকে বেগম’ কে ভাসাও ‘অনন্ত প্রেমে’।
হল থেকে বের হওয়ার পরও অনেকক্ষণ পর্যন্ত থেকে যাওয়া ভাবনায়-
তুমিই ‘প্রতিনিধি’,
ভেতর- বাহির সমস্ত সত্ত্বায়।

ফিরে ফিরে আসো,
উন্মাতাল স্বপ্ন বেচাকেনার দিনগুলিতে ‘জীবন থেকে নেয়া’ কলমে-
‘আলোর মিছিলে’ একদম সামনের দিকে।
সৌভাগ্যের বরপুত্র এক...

কে তুমি ? প্রজন্ম কি জানে ?
আহ, সেই দৃশ্য কাচ বোতল হাতে ‘এই পথে পথে’
উপমহাদেশীয় রথী মহারথীদের কতো আগেই করেছিলে এন্টিহিরো !!
সেই রূপালি পাথর চোখ, রূপালি পর্দায়,

বিস্ময় বিপর্যস্ত উপাখ্যানে,
‘মানুষ যদি মোরে নাই বলও বেঈমান বলও বেঈমান’।
নতজানু, হতবাক,
আহ সেই কৈশোর, সেই গান-
সেই সাদা-কালো রূপালি পর্দায়।

তুমি হিমালয়, দণ্ডায়মাণ এভারেস্ট শৃঙ্গ
তুমি শুরু, তুমিই শেষ।
তুমি অররা, প্যারিক্যুটিন আগ্নেয়গিরি
তুমি ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, তুমিই দেশ ।

প্রজন্ম কি জানে ?
সেই বেহুলারা এখনো ভাষায় ভেলা-
লখিন্দর তোমার জন্য, তোমারই জন্য।

প্রজন্ম কি জানে?
তোমার পরে কাউকে গুণতে হলে ১ এর পর সমস্তটাই খালি, কিচ্ছু দেখা যায় না
১০১ থেকে শুরু করা যেতে পারে...

প্রিন্স মাহমুদ
২৪/১০/২০১৫

বাংলাদেশ সময় : ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।