ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

জন্মদিনের আগের দিনেই শুভেচ্ছা!

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
জন্মদিনের আগের দিনেই শুভেচ্ছা! রুনা লায়লা/ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আগামীকাল ১৭ নভেম্বর। কিন্তু শুভাকাঙ্ক্ষি ও ভক্তদের অনেকে তাকে রোববার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তাদের প্রায় সবাই ভুল করে ভেবেছিলেন সোমবারই প্রিয় শিল্পীর জন্মদিন!

রুনা এখন লন্ডনে কন্যাসন্তান তানি লায়লা ও দুই নাতির কাছে বেড়াচ্ছেন। ফেসবুকে রোববার তিনি লিখেছেন, ‘আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের কাছ থেকে জন্মদিনের আগেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়েছি। সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, আমার জন্মদিন ১৭ নভেম্বর। তবুও সবাইকে শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। ’

বাংলানিউজের পক্ষ থেকে রুনার সঙ্গে লন্ডনে যোগাযোগ করলে তিনি বললেন, ‘মেয়ে তানি, দুই নাতি আর কয়েকজন কাছের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে জন্মদিন পালন করবো। আমার বড় নাতি জাইনের জন্মদিন ২৪ নভেম্বর, আমার জন্মদিনের এক সপ্তাহ পরেই। তাই দু’জনের জন্মদিনের অনুষ্ঠান একসঙ্গে উদযাপন করবো ২২ নভেম্বর। ’

রুনা দেশে ফিরবেন আগামী ১২ ডিসেম্বর। জন্মদিন উপলক্ষে ভক্ত ও পাঠকদের উদ্দেশ্যে সংগীত জীবনে ৫০ বছর পেরিয়ে আসা কিংবদন্তি এই শিল্পী বলেছেন, ‘আমার সকল শ্রোতা, ভক্ত, গুণগ্রাহীদের জানাই অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আপনারা ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। যেন আমিও সুস্থ থাকি এবং আপনাদেরকে গান শোনাতে পারি আর সুন্দর সুন্দর গান উপহার দিতে পারি। ’

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে রুনা লায়লার জন্ম। মাত্র সাড়ে ১২ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানি ছবি ‘জুগনু’র মাধ্যমে সংগীতে পথচলা শুরু করেন তিনি। ওই ছবির ‘গুড়িয়াসি মুনি্ন মেরি’ তার জীবনের প্রথম গাওয়া গান। পাঁচ দশকের সংগীত জীবনে লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক- সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন রুনা। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজিসহ ১৮টি ভাষায় তার কণ্ঠে গান শোনা গেছে। এ পর্যন্ত গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

বাংলাদেশের ছবিতে রুনা লায়লার গাওয়া প্রথম গান হলো গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সুবল দাসের সুরে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। লাহোরে থাকাকালেই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে দেশে স্থায়ীভাবে চলে আসার পর প্রথম তিনি গেয়েছেন সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ।

নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান রুন লায়লা। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয়বার। ছবিগুলো হলো- ‘দি রেইন’ (১৯৭৬), ‘যাদুর বাঁশী’ (১৯৭৭), ‘অ্যাকসিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪), ‘তুমি আসবে বলে’ (২০১২) এবং ‘দেবদাস’ (২০১৩)।

বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে গান গেয়েছেন রুনা লায়লা। সর্বশেষ গেয়েছিলেন ১৯৯০ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘অগ্নিপথ’ ছবির ‘আলীবাবা মিল গ্যায়া চল্লিশ চোর সে’ গানটি। বলিউডে তার গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘ও মেরা বাবু চেইল চেবিলা’। এর সংগীত পরিচালনা করেন এম. আশরাফ। পাকিস্তানের ‘মান কি জিত’ (১৯৭২) ছবির এ গানটি ব্যবহার হয় বলিউডের ‘ঘর দুয়ার’ (১৯৮৫) ছবিতে।

গানের বাইরে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুনা লায়লা। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন আলমগীর। পরবর্তী সময়ে তারা ঘর বাঁধেন।

রুনা লায়লার গাওয়া পাঁচটি গানের ভিডিও :

* শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো


* এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না


* বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম


* আয়রে মেঘ আয়রে


* ভালোবাসার স্বপ্নে ঘেরা এই তো আমার ঘর


বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।