ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পেলেন তরুণরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৬
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পেলেন তরুণরা ছবি: সানি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশব্যাপী ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হলো। এ আয়োজনে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হয়েছে আবিদ মল্লিকের ‘পথ’।

হরতাল ও জঙ্গিবাদে তরুণদের বিপথগামী হওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদপত্রের সঙ্গে তার হাতে এসেছে ১ লাখ টাকা।

‘দি সুজ’ ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সাহাদাত হোসাইন। মামুনুর রশীদ শ্রাবণ পরিচালিত ‘মাটির পাখি’ পেয়েছে বিশেষ জুরি পুরস্কার। শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে সেরা হয়েছে মকবুল চৌধুরীর ‘নট পেনি নট অ্যা গান’। ক্রেস্ট ও সনদপত্রের সঙ্গে তিনি পুরস্কার পেয়েছেন ১ লাখ টাকা। এ বিভাগে ‘বিষকাঁটা’র জন্য সেরা পরিচালক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা পান ফারজানা ববি। এ ছাড়া ফৌজিয়া খান পরিচালিত ‘যে গল্পের শেষ নাই’ পেয়েছে বিশেষ জুরি পুরস্কার।

উভয় বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রাপ্ত দুই নির্মাতাকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও সনদপত্র। এ ছাড়া উৎসবে প্রদর্শিত ৩৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ২৯টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা পেয়েছেন সনদপত্র। উৎসবের সমাপনী এবং পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি স্থপতি লায়লুন নাহার স্বেমি ও চলচ্চিত্র গবেষক ফাহমিদুল হক। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চেধুরী।

গত ২ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী একযোগে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’। এ ধরনের আয়োজন দেশের সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আয়োজকরা। এ উৎসব উৎসর্গ করা হয় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে।

জমা পড়া দুই শতাধিক ছবির মধ্য থেকে পাঁচ সদস্যের নির্বাচক কমিটির মাধ্যমে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয় ৩৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ২৯টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নির্মিত উল্লেখযোগ্য ছবি থেকে বেছে নেওয়া হয় ১১টি প্রামাণ্যচিত্র ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সব মিলিয়ে উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ৮৪টি চলচ্চিত্র। উৎসবটিকে সহযোগিতা করেছে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম এবং বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ।

বাংলাদেশ সময় : ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।