ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

শিকাগোতে সেরা ছবি বাংলাদেশের ‘মাটির প্রজার দেশে’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
শিকাগোতে সেরা ছবি বাংলাদেশের ‘মাটির প্রজার দেশে’ (বাঁয়ে) ‘মাটির প্রজার দেশে’র দৃশ্য, (ডানে) পুরস্কার হাতে ইমতিয়াজ আহমেদ বিজন

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো সাউথ এশিয়ান আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে দর্শক পছন্দে সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির পুরস্কার জিতলো বাংলাদেশের ‘মাটির প্রজার দেশে’। এর পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বিজনের হাতে গত ১০ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ১০টায় পুরস্কার তুলে দিয়েছেন আয়োজকরা।

হিন্দি, সিংহলিজ, মালয়ালাম, উর্দু, পাঞ্জাবি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত ১৪টি চলচ্চিত্রের সঙ্গে একমাত্র বাংলা ভাষার ছবি হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ‘মাটির প্রজার দেশে’। আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার গুণী পরিচালকদের সারিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিজন। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রাপ্তিতে আমি ভীষণ আনন্দিত। এই অর্জন পুরো বাংলাদেশের। ’

এবারের উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছে মোট ১৫টি ছবি। এর মধ্যে ‘মাটির প্রজার দেশে’ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ছিলো ‘মাসান’, ‘আলিগড়’, ‘আইল্যান্ড সিটি’, ‘দি টাইগার হান্টার’, ‘কাশ’, ‘ওয়েটিং’, ‘বুদ্ধিয়া সিং : বর্ন টু রান’ ইত্যাদি।

গত ৯ অক্টোবর উৎসবে প্রদর্শিত হয় গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স প্রযোজিত ‘মাটির প্রজার দেশে’। এতে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, মাহমুদুর অনিন্দ্য, শিউলি আক্তার, মনির আহমেদ শাকিল, চিন্ময়ী গুপ্তা।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজন শেষ হয়েছে ১০ অক্টোবর। এটি শিকাগো সাউথ এশিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সপ্তম আসর। এ আয়োজন দক্ষিণ এশিয়ার নির্মাতাদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্লাটফর্ম হিসেবে ধরা হয়।

এর আগে সিয়াটল আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি বাংলাদেশের দর্শকরা দেখতে পারবেন। এরপর সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হবে ‘মাটির প্রজার দেশে’।

লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম টেলিভিশন অ্যান্ড থিয়েটার বিভাগে স্নাতক করেছেন বিজন। এই বিভাগে ফিল্ম পড়ার জন্য প্রতি বছর সারা পৃথিবী থেকে মাত্র ১৮ জন সুযোগ পেয়ে থাকেন। এখানে পড়েছেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, আলেক্সান্ডার পাইন, পল স্রেডার, টিম রবিনসের মতো কিংবদন্তি নির্মাতারা।

২০১০ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডকুমেন্টারি কাউন্সিল ও স্কটিশ ডকুমেন্টারি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বিজন যৌথভাবে নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়েটিং ফর গডো’। ‘মাটির প্রজার দেশে’ তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

আরও পড়ুন>>>
* শিকাগো সাউথ এশিয়ান উৎসবে ‘মাটির প্রজার দেশে’
* সিয়াটল উৎসবে ‘মাটির প্রজার দেশে’

বাংলাদেশ সময় : ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।