ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

গাইতে গিয়ে বিব্রত মারায়া ক্যারি!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৭
গাইতে গিয়ে বিব্রত মারায়া ক্যারি! টাইমস স্কয়ারে বিব্রত হওয়ার সময় মারায়া ক্যারি

২০১৬ সালটা জনসমক্ষে খুবই বিব্রতকরভাবে শেষ হলো মারায়া ক্যারির জন্য। ইংরেজি নববর্ষের আগের দিন রাতে সংগীত পরিবেশনের সময় বড়সড় কারিগরি ত্রুটির শিকার হলেন তিনি।

ঘরোয়া কিংবা কোনো ক্লাবের আয়োজনে হলে তা-ও বাঁচা যেতো, কিন্তু কনসার্টটি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে। সেখানে হাজার হাজার আর টেলিভিশনে কোটি কোটি দর্শক-শ্রোতা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছিলেন।

শুরুতে স্কটিশ কবিতা ‘অল্ট ল্যাং সাইন’ সুরে সুরে গাইছিলেন মারায়া। কিন্তু তার পরিবেশনা দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিলো, কোথাও গড়বড় হয়েছে। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত নিজের বিখ্যাত গান ‘ইমোশনস’ গাওয়ার সময় তিনি শ্রোতাদের জানান কিছুই শুনতে পারছেন না। কানে রাখার যন্ত্রই গোলমালের কারণ বলে মনে হচ্ছিলো। এ কারণে উচ্ছ্বাস করবেন কি, উল্টো বিমর্ষ হয়ে পড়লেন তিনি।

মারায়া ক্যারি বলেছেন, ‘আমি যা গাইছি তা শোনা যাচ্ছে না আমাদের কারও কানে। আমরা সাউন্ড চেক করিনি। তবে এটা ইংরেজি নববর্ষ। তাই মেনে নেওয়া যায়। ’ তবুও যুতসই লাগছিলো না কিছুই। শেষমেষ গতি না পেয়ে মঞ্চ থেকে চলে যাওয়ার মনস্থির করেন তিনি। তাই বলে উঠলেন, ‘দর্শককে গাইতে দিয়ে চলে যাচ্ছি, ঠিক আছে?’

২০০৫ সালের জনপ্রিয় গান ‘উই বিলং টুগেদার’ গাওয়ার সময়ও সমস্যা টের পাচ্ছিলেন মারায়া। এরপর রসিকতার সুরে মারায়া বলেন, ‘আমি ছুটি পেতে চাইছিলাম, পেতে পারি না?’ শেষমেষ দর্শক-শ্রোতাদের তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে ভালো সাউন্ড মনে হয় না হবে। ’ এরপরই মঞ্চ ত্যাগ করেন ৪৬ বছর বয়সী এই গায়িকা।

টাইমস স্কয়ারে মারায়া ক্যারি। এদিকে এ ঘটনায় মারায়ার প্রতিনিধি ও আয়োজকদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়েছে।   তাই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মারায়ার মুখপাত্র নিকোল পার্না বিলবোর্ড ওয়েবসাইটকে বলেছেন, ‘তিনি এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। আয়োজকরা তার জন্য যুতসই সেটআপ রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে কানে রাখার যে যন্ত্র দেওয়া হয়েছে সেটা নিম্নমানের ছিলো। এটা ঠিকভাবে কাজ করছে কি-না তা না দেখেই লাইভে চলে গেছেন আয়োজকরা। ’

তবে ডিক ক্লার্ক প্রোডাকশন্সের দাবি, ‘৫০ বছর ধরে বিশ্বসংগীতাঙ্গনে কাজ করছি আমরা। শিল্পীদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ও ভাবমূর্তি নিয়ে গর্ব হয়। আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, নি উইয়ার’স রকিন ইভ ও অ্যাকাডেমি অব কান্ট্রি মি উজিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারে কাজ করেছি। এতোদিন পর এসে কোনো শিল্পীর কানের যন্ত্র নিয়ে অভিযোগ তোলা মানহানিকর, যাচ্ছেতাই ও হাস্যকর। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, শিল্পী হিসেবে মারায়া ক্যারির প্রতি আমাদের পরম শ্রদ্ধা আছে। এ ধরনের ঘটনা খুব কমই ঘটে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।