ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

বাঙালি মেয়েরা খুব পজিটিভ মাইন্ডেড: আলিয়া ভাট

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
বাঙালি মেয়েরা খুব পজিটিভ মাইন্ডেড: আলিয়া ভাট বরুণ ধাওয়ান ও আলিয়া ভাট, ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: হোলির ঠিক আগে আলিয়া ভাট ও বরুণ ধাওয়ান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘বদ্রীনাথ কি দুলহানিয়া’ মুক্তি পেয়েছে। বলিউডের এই চলচ্চিত্রর প্রচারে দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন  দুই তারকা। প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’থেকেই এই জুটি দর্শকের মন জয় করেছেন। কলকাতায় চলচ্চিত্রের প্রচারের ফাঁকে রাজারহাটের হোটেল টিউলিপ ইন-এ বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন আলিয়া ও বরুণ। পড়ুন তাদের সাক্ষাৎকার—

বাংলানিউজ: ‘বদ্রীনাথ কি দুলহানিয়া’ কলকাতার মানুষ, বিশেষ করে  বাঙালিরা ঠিক কেন দেখবে?
আলিয়া ভাট:
আমার মনে হয় এই চলচ্চিত্রটি বিশেষ করে বাঙালি দর্শকদের  পছন্দ হবে। বাঙালি মেয়েরা খুব পজিটিভ মাইন্ডেড।

এই ছবিতেও মেয়েদের এই দিকটায় জোর দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় এসে বুঝতে পারছি, এই ছবির কথা অনেকেই জানেন। তাই আমি বেশ আশাবাদী।
বরুণ ধাওয়ান: আমার আর আলিয়ার অনেক ইয়াং ফ্যান আছে। এবং তাদের প্রতি আমাদের দ ‘জনেরই একটা দায়িত্ব আছে। আমাদের ভক্তদের বলবো হলে গিয়ে ছবিটি দেখুন, 
ছবিটিতে ভালো মেসেজ পাবেন।

আলিয়া ভাট, ছবি-বাংলানিউজবাংলানিউজ: আপনারা দু’জনই ফিটনেস সচেতন। ছবিটির জন্য নাকি প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করতে হয়েছে?
আলিয়া:
হ্যাঁ, তা হয়েছে। কোটার রাজবাড়িতে অনেকটা শুটিং হয়েছে। রাজবাড়ির মেনু আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিলো। চিকেন, রুটি, হালুয়া, হরেক রকম সবজি। এমন ভালোবেসে ওরা খাওয়াতেন, না করতে পারতাম না। ডায়েট ভুলে গিয়েছিলাম। বরুণও খেতো। ও আবার সন্ধ্যাবেলা ওয়ার্ক আউট করে নিতো।

বাংলানিউজ: কলকাতায় এলে কতোটা ডায়েট চার্ট মেনে চলছেন?
আলিয়া:
কলকাতায় এসে ডায়েট মেনে খাবো, এটা হতেই পারে না। ইমতিয়াজ (পরিচালক ইমতিয়াজ আলি) আমাকে বলেছিলেন, ইফ ইউ ওয়ান্ট টু ফলো ডায়েট, ডোন্ট কাম টু
কলকাতা। ছবির প্রমোশনের সময় একদিনেই রসগোল্লা, রসমালাই, মিষ্টি দই সব খেয়েছি।
বরুণ: আমার কিন্তু রসগোল্লার চেয়ে রসমালাই বেশি ভালো লেগেছে।

বাংলানিউজ: নতুন চলচ্চিত্রের জন্য চাপ কেমন টের পাচ্ছেন?
বরুণ:
(হাসি) হ্যাঁ, আমি  বেশ চাপ অনুভব করছি। থ্যাংক ইউ ফর আস্কিং মি দ্যাট। আমি একটু টেনশনেই আছি। আলিয়া বরং অনেক ফুরফুরে মেজাজে।
আলিয়া: আমি একটু কম চাপে আছি। আগে চাপটা অনেক বেশি লাগছিলো। বক্স অফিসে কেমন করবে সেটা যেন অনেকটা বুঝতে পারছি। তাই আমি নার্ভাস নই বরং উত্তেজি বলতে পারেন। ছবিটি সকলকে দেখানোর জন্য মুখিয়ে আছি।
বরুণ: (থামিয়ে দিয়ে) আমি জানি আলিয়া কেন খুশি। ওর একজন বেস্ট ফ্রেন্ড আছে। আলিয়া যে সব ছবি করে ও তার কড়া সমালোচক। আসলে ও এসব ছবি দেখতেই
পছন্দ করে না। 'টাইম পাস' ছবি না, ও ভালোবাসে যথার্থ ভালো ছবি দেখতে। এবার আলিয়ার সেই বন্ধু ‘বদ্রীনাথ কি দুলহানিয়া’ দেখে প্রশংসা করেছে। তাই আলিয়া চাপে নেই।

বাংলনিউজ: ছবিতে দেখা যাচ্ছে সিম্পল ইন্টারেস্ট, কমপাউন্ড
ইন্টারেস্ট— এটা লাভ স্টোরি না অঙ্কের টিউশন ক্লাস?
আলিয়া:
(অট্ট হাসি) ইটস নট আ ম্যাথ ক্লাস। অ্যাকচুয়ালি আই অ্যাম টেকিং হিজ (বরুণের দিকে দেখিয়ে) ক্লাস। এটি আসলে একটা ঝলক। নাচ আছে, মজা আছে। এই ছবিতে সব মশলাই মজুত। এটা একটা ইমোশনাল ফিল্ম।
বরুণ: শি ইজ রাইট। ছবিটা অসম্ভব এন্টারটেইনিং। হিউমারাস। ইমোশনে ভরপুর। এক কথায় ইট ইজ আ গুড, ক্লিন, ফান হিন্দি মুভি। আমার চরিত্র নিয়েও কিছু বলার আছে।

আলিয়া ভাট ও বরুণ ধাওয়ান, ছবি-বাংলানিউজবাংলানিউজ: আলিয়া অভিনীত ‘হামটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ চলচ্চিত্র থেকে এই ছবির ‘বৈদেহী’ (চলচ্চিত্রে আলিয়া ভাটের নাম) কতোটা আলাদা?
আলিয়া:
বৈদেহী অনেক বেশি ম্যাচিওরড মেয়ে। ম্যাচিওরড ওম্যান। বৈদেহী বুদ্ধিমতীও। তার অ্যাম্বিশন আছে, স্বপ্ন আছে। বিয়ে নিয়ে তার মধ্যে কোনও তাড়াহুড়ো নেই।

বাংলানিউজ: আলিয়া-বরুণ ধাওয়ান হট জুটি। এই  জুটির কখনও মতভেদ হয়েছে?
আলিয়া:
বরুণ ভালো অভিনেতা। ওর সঙ্গে অভিনয়ের সময় আমাকে আলাদা করে অভিনয় করতে হয় না। বেশিরভাগ সময় দু’জনের মতের মিল হয়। তবে কিছু সময় আমি যদি আগে
বুঝে যাই তখনই বরুণের মাথা গরম হয়ে যায়। তারপর যদি ওকে বোঝাতে গেলাম তো পুরো রেগে গেলো। আমাকে বলে ‘কিপ কোয়ায়েট’।
বরুণ: আলিয়া খুব হেল্পফুল। প্রচণ্ড প্রফেশনাল। যে সময় আমরা শুরু করেছিলাম তখনকার আলিয়ার থেকে এখনকার আলিয়া অনেক বেশি সিরিয়াস। নিজের কাজ নিয়ে অসম্ভব যত্নশীল। একটা কিলার ইনস্ট্রিংক্ট আছে ওর। দৃশ্যগুলোও চটপট বুঝে
যায়। বরং আমার অনেক সময় লাগে। যদিও আমি ওর থেকে ভালো অ্যাক্টিং করি (হাসি)।

বাংলানিউজ: বাস্তব জীবনে বরুণের কেমন দুলহানিয়া পছন্দ?
বরুণ:
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সকলেরই সিদ্ধান্ত, চিন্তাভাবনা পালটে যায়, ম্যাচিওরিটি আসে। আমার দুলহনিয়াও যেন সেরকমই হয়।

বাংলানিউজ: এই ছবির জন্য তাহলে আলাদা কোনও প্রস্তুতি লাগেনি?
আলিয়া:
হ্যাঁ, নিতে হয়েছে। আসলে প্রস্তুতি কেমন হবে তার অনেকটাই নির্ভর করে পরিচালকের ওপর। উনি ঠিক কী চাইছেন সেটা বুঝতে হয়। সব চরিত্রের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিতে হয় এমন নয়। ‘হাইওয়ে’ ছবিতে যেমন আমার কোনও রিহার্সালেরও দরকার হয়নি, এখানে হয়েছে। কারণ শশাঙ্ক সেটা চেয়েছিলেন। একটা অন্য ‘ডায়লেক্ট’ আছে এই ছবিতে। তাই ৬ মাসের একটা ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে।
বরুণ: আলিয়ার থেকে আমাকে অনেক বেশি খাটতে হয়েছে, অনেক রিহার্সাল করতে হয়েছে। শশাঙ্ক যেভাবে চরিত্রটা লিখেছেন সেটায় আলিয়ার কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া আলিয়া অনেকটা চলচ্চিত্রের বৈদেহীর মতো। আমি সেখানে কোনও
অ্যাঙ্গেলেই বদ্রী নই। আমাকে এই চরিত্রটার জন্য নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে।

বরুণ ধাওয়ান ও আলিয়া ভাট, ছবি-বাংলানিউজবাংলানিউজ: আগামী দিনে কি কি ছবি করছেন?
বরুণ:
‘জুড়ুয়া’ ছবির সিক্যুয়াল হচ্ছে ‘জুড়ুয়া ২’। আমার বাবা (ডেভিড ধাওয়ান) পরিচালনা করছেন। আর সুজিত সরকারের একটা ছবিতে কাজ করবো। নাম এখনও ঠিক হয়নি।

আলিয়া: আমি করছি অয়ন মুখার্জির ‘ড্রাগন’, রণবীর কাপুরের সঙ্গে। আর জোয়া আখতারের ছবিতেও আমার কো স্টার রণবীর।

বাংলানিউজ: অনেক ধন্যবাদ আপনাদের দু’জনকে।
বরুণ ও আলিয়া
: থ্যাংক ইউ সো মাচ। অবশ্যই  চলচ্চিত্রটি দেখবেন এবং কেমন
লাগলো সেটা জানাতে ভুলবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ১৪ মার্চ, ২০১৭
ভিএস/এসও 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।