ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

সুরের লাল আগুন ছড়ালেন শ্রেয়া

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
সুরের লাল আগুন ছড়ালেন শ্রেয়া শ্রেয়া ঘোষাল, ছবি: রাজীন চৌধুরী

‘প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস/তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ’— কবির সেই সর্বনাশের খবর জানা যায়নি। কিন্তু চৈত্রের এই সন্ধ্যা সুরের পাখি শ্রেয়া ঘোষারের কণ্ঠের জাদুতে হয়ে উঠলো সর্বনেশে! গানপাগল মানুষ ভালোলাগার আতিশয্যে এমনটা ভাবতেই পারেন, অন্তত যারা সরাসরি উপভোগ করেছেন শ্রেয়াল গান। 

ভরা চৈত্র চললেও হুটহাট বৃষ্টি এসে পড়ছে। শ্রেয়া ঘোষাল এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ আবহাওয়ার খবর জেনেই পা রেখেছেন ঢাকায়।

আগাগোড়া লাল রঙের সালোয়ার কামিজে মঞ্চে এলেন তিনি।

সুরের লাল আগুন ছড়াবেন বলেই এমন করে সেজেছেন শ্রেয়া! শুক্রবার (৩১ মার্চ) যখন মঞ্চে এলেন, তখন ঘড়ির কাটায় রাত নয়টা। সেমি ক্ল্যাসিক্যাল একটি হিন্দি গান নিয়ে শুরু করলেন পরিবেশনা। মাঝপথে বলে নিলেন, 'ঢাকার সবাইকে নমস্কার। এখানে এতো ভালো শ্রোতা পাওয়া যায় বলেই বারবার ‍ছুটে আসি। ’

দুটি সেমি ক্ল্যাসিক্যাল (মোহে রং দে লাল ও দিওয়ানী হো দিওয়ানী) গানের পর কণ্ঠে তুললেন জনপ্রিয় 'বাহারা বাহারা' গানটি। ততক্ষনে অডিটোরিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। এরপর একে একে গাইলেন ‘আগার তুম মিল যাও’, ‘জাদু হে নাশা হে’, ‘জিয়া জ্বলে’, ‘তুম হি তো’ প্রভৃতি গান। বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলে ‘শ্রেয়া ঘোষাল মেলোডি নাইট লাইভ ইন ঢাকা’র আয়োজন করে অক্টোপি। সাথে ছিলো এটিএন ইভেন্টস।

এই গানগুলো পরিবেশন করার ফাঁকে শ্রেয়া বাংলা-ইংলিশ মিশিয়ে বললেন কিছু কথা। ‘তখন ক্যাসেটের যুগ। গান শুনতাম। বাবা ক্যাসেট কিনে আনতেন। একদিন নিয়ে এলেন ‘রোজা’, এরপর ‘বম্বে’, ‘দিলসে’, ‘তান’…ধীরে আমি সংগীতে আসক্ত হতে শুরু করি। ’ শ্রেয়া জানান, শুরুতে তিনি খুব বেশি না বুঝেই চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন।  

‘শ্রেয়া ঘোষাল মেলোডি নাইট লাইভ ইন ঢাকা’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন আমব্রিন। এতে আরও গান করেন কলকাতার কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে মিফতাহ জামান, পিন্টু ঘোষ ও আনিকা সংগীত পরিবেশন করেন।

ছবি: বাংলানিউজএদিকে ‘শ্রেয়া ঘোষাল মেলোডি নাইট লাইভ ইন ঢাকা’ কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান অক্টোপির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার, ছবি তুলতে নিষেধ করা, এমনকি ‘ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না’ বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এটিএন ইভেন্টসের কর্মকর্তারা অক্টোপির সহযোগী পরিচালক মামুনুর রশীদের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।