ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

প্রণয়কালে আমাকে ‘মিশরীয় কন্যা’ ডাকতেন হুমায়ূন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
প্রণয়কালে আমাকে ‘মিশরীয় কন্যা’ ডাকতেন হুমায়ূন মেহের আফরোজ শাওন- ছবি বাংলানিউজ

ঢাকা: সবসময় মাঝে সিঁথি করে চুল ছেড়ে রাখতাম বলে প্রণয়কালে হুমায়ূন আহমেদ আমায় ডাকতেন ‘মিশরীয় রাজকন্যা’। মিশরে তখন যেতে না পারলেও নিজেকে কোনো এক ফারাও রাজকন্যা ভেবে মনে মনে পুলকিতও হয়েছি কখনও কখনও।

কথাগুলো মেহের আফরোজ শাওনের।

সম্প্রতি একটি স্থাপত্য বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে প্রথমবারের মতো মিশর গিয়েছেন হুমায়ূন পত্নী।

সেখানে গিয়ে স্মৃতিকাতর হন এই অভিনেত্রী ও নির্মাতা। মনে পড়ে যায় হুমায়ূনের সেই কথা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে জানান, মিশর ইংরেজিতে Egypt। উফ... দু’একটি দেশের এই যে দুইরকম নাম (ভারত যেমন, India) কেমন জানি লাগে! কিন্তু মিশরের প্রতি আগ্রহ কার না আছে! পিরামিড, স্ফিংস, ফারাও, মমি তুতেন খামুন, রেমেসিস ২, ক্লিওপেট্রা ও নেফারতিতি। এই নামগুলো কৈশোরেই মাথার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। স্কুলের বইয়ের পাতায় নীল নদের তীরে মিশর সভ্যতা গড়ে ওঠার ইতিহাস পড়ে ‘নীল’ নদের নামটা হৃদয়ে গেঁথে বসলো। ‘নীল নদের জল আসলেই কি নীল?’ এই প্রশ্নের উত্তর মনে মনে কতো খুঁজেছি! এবার মিশরে মেহের আফরোজ শাওন, (সংগৃহীত ছবি)শাওনের মিশরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল বহু আগে। কিন্তু এর আগে তার যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এই নিয়ে তিনি লিখেন, স্থাপত্যকলায় পড়বার সময় মিশরের প্রাচীন স্থাপনার রহস্যে অভিভূত হয়েছি। আর মনে মনে ভেবেছি, ‘একবার মিশর যেতেই হবে’। ২০০৪-এর পর দুই-দুইবার পরিকল্পনা করেও শেষ পর্যন্ত মিশর দর্শন হলো না হুমায়ূন আর আমার। তাই হঠাৎ যখন এবার একটি স্থাপত্য বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য মিশর দর্শনের আমন্ত্রণ পেলাম তখন হ্যাঁ বলতে ১০ সেকেন্ড সময়ও নেইনি।

২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন বিয়ে করেন। ১৯ জুলাই ২০১২’তে না ফেরার দেশে চলে যান প্রিয় লেখক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
জেআইএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।