ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

পঁয়ষট্টিতেও চিরসবুজ ববিতা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
পঁয়ষট্টিতেও চিরসবুজ ববিতা ববিতা

পুরো নাম ফরিদা আক্তার পপি। কিন্তু চলচ্চিত্রে সবাই তাকে ববিতা নামেই চেনেন। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় তার জন্ম। চলতি বছর জীবন্ত এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী ৬৫ বছরে পূর্ণ হলো। এ বয়সেও তিনি সদা হাস্যোজ্জ্বল ও চিরসবুজ।

পরপর দু’বছর দেশে জন্মদিন পালন করলেও এবার তিনি বিশেষ এই দিনটি পালন করতে উড়াল দিয়েছেন সুদূর কানাডা। সেখানে তার একমাত্র ছেলে অনিকের সঙ্গে জন্মদিন পালন করবেন।

ববিতাপুত্র বেশ কয়েক বছর আগে কানাডার ওয়াটার ল্যু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সেখানেই এখন শিক্ষকতা এবং গবেষণার কাজ করেন তিনি।

ববিতার বাবা নিজামুদ্দীন আতাউল ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা ও মা বি. জে. আরা ছিলেন একজন চিকিৎসক। তবে তার পৈতৃক বাড়ি যশোর জেলায়। শৈশব এবং কৈশোরের প্রথমার্ধ কেটেছে যশোর শহরের সার্কিট হাউজের সামনে রাবেয়া মঞ্জিলে। অভিনেত্রী সুচন্দা, ববিতা ও চম্পাববিতার তিন বোনই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তার বড়বোন সুচন্দা ও ছোট বোন গুলশান আখতার চম্পা। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড়ভাই শহীদুল ইসলাম ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মেজভাই ইকবাল ইসলাম বৈমানিক এবং ছোটভাই ফেরদৌস ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ববিতাকে এখন আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় না। তবে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট নানা অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অর্ধশত বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ৩শ’রও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

ষাটের দশকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন জহির রায়হান পরিচালিত ‘সংসার’ সিনেমায় রাজ্জাক ও সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ববিতা। এটি ছিল তার প্রথম সিনেমা। যদিও সিনেমাটি মুক্তির মুখ দেখেনি।

বেশ কয়েক বছর পর জহির রায়হানের পরিচালনায় রাজ্জাকের বিপরীতে ‘শেষ পর্যন্ত’ সিনেমায় অভিনয় করেন ববিতা। এটি তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ‘মিস লঙ্কা’খ্যাত এই অভিনেত্রীকে।

একে একে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা। ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে-‘অশনি সংকেত’, ‘নিশান’, ‘মন্টু আমার নাম’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিনকন্যা’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘মিস লঙ্কা’, ‘জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি, ইত্যাদি।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়ান। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দেশে-বিদেশে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।

টানা তিন বছর একটানা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে রেকর্ড করেন তিনি। ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
জেআইএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।