ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

আমজাদ হোসেনের মরদেহ জামালপুরে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
আমজাদ হোসেনের মরদেহ জামালপুরে  জামালপুরে আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেখতে মানুষের ভিড়, ছবি: বাংলানিউজ

জামালপুর: প্রয়াত চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের মরদেহ জামালপুরে আনা হয়েছে। ঢাকা থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স করে ২২ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত সাড়ে ১০টায় জামালপুর শহরের ইকবালপুরে নিজ বাসভবনে তার মরদেহ পৌঁছায়।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ১০টায় তাকে জামালপুর পৌর কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

গত ১৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রয়াত এ চিত্র পরিচালক।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। এক সপ্তাহ পর ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি প্লেনে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার মরদেহ।

পরদিন শনিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমজাদ হোসেনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হয় এটিএন বাংলায়। এরপর বাদ জোহর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ চ্যানেল আইতে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের শেষে দাফনের জন্য মরদেহবাহী গাড়ি করে আমজাদ হোসেনের মরদেহ জামালপুর শহরের ইকবালপুরে নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ইকবালপুরে নিজ বাসভবনে পৌঁছায় তার মরদেহ।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থেকে নামানো হয়েছে। এসময় তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন, শোভাকাঙ্ক্ষী, ভক্ত ও সাধারণ মানুষ। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমও তাকে দেখতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন। পরে তার মরদেহ গাড়িতে তুলে রাখা হয়। ২৩ ডিসেম্বর সকালে সর্বসাধারণের দেখা ও জানাজার জন্য তার মরদেহ জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রয়াত আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বাংলানিউজক বলেন, ‘বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী জামালপুরে তার আব্বা-আম্মার কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় তার মরদেহ জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাখা হবে। এরপর সকাল ১০টায় নামাজে জানাজা শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুণী এ নির্মাতাকে গত ২৭ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানে তিনি প্রখ্যাত নিউরো সার্জন টিরা ট্যাংভিরিয়াপাইবুনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গোলাপি এখন ট্রেনে, ভাত দে, কসাই, নয়নমণি, দুই পয়সার আলতা’, জন্ম থেকে জ্বলছি’সহ এমন আরও কিছু জনপ্রিয় সিনেমার কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক আমজাদ হোসেন।

গুণী এই নির্মাতা চলচ্চিত্রশিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরুপ- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।