ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

ভারতীয় সিনেমার ডান্সিং আইকনরা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২১
ভারতীয় সিনেমার ডান্সিং আইকনরা

নৃত্য স্বতন্ত্র একটি সাংস্কৃতিক অঙ্গন হলেও উপমহাদেশের চলচ্চিত্রে সংগীত ও নৃত্য যেন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ভারতীয় চলচ্চিত্রে সেইসব ডান্সিং আইকনদের এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, যারা সত্যিই নাচকে ভালোবেসেছেন জীবনভর।

হেমামালিনী ভারতনাট্যম নৃত্যধারায় পারদর্শী। গুরু গোপালকৃষ্ণনের কাছে শিখেছেন কুচিপুড়ি ও মোহিনীআট্যমের সূক্ষ্ম আঙ্গিক। দুই কন্যা এষা ও অহনা দেওল ওড়িশি নৃত্যঘরানায় শিক্ষিত। বলিউডের এই মোহিনী চিরকাল দর্শকদের মনের মধ্যে থেকে যাবেন 'শোলে'র বাসন্তী হিসেবে, ‘যব তক হ্যায় জান, ম্যায় নাচুঙ্গি’।

হেমামালিনী

মাধুরী দীক্ষিত বড়পর্দায় এলেন 'মোহিনী মোহিনী' চিৎকারে। গোটা দেশকে ভাসালেন, 'এক দো তিনে'র রিদমে। ধীরে ধীরে দর্শক বুঝলেন ভারতের শাস্ত্রীয় নৃত্যের তিনি মনোযোগী ছাত্রী। 'দেবদাস' সিনেমার 'মার ডালা' কি ভোলা যায়?

মাধুরী দীক্ষিত

ঐশ্বরিয়া রাই মডেল বা অভিনেতা হিসেবে যত নাম কুড়িয়েছেন, তার আড়ালে চলে গেছে ঐশ্বরিয়ার নৃত্যশিল্পী সত্ত্বা। অথচ, জীবনের একটা বড় অংশ মন দিয়ে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য় চর্চা করেছেন রাইসুন্দরী। মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে 'ডোলা রে' অথবা 'উমরাও জান' সিনেমাতে তার নৃত্য দেখে দর্শক চোখ ফেরাতে পারেন না আজও।

ঐশ্বরিয়া রাই

বৈজয়ন্তীমালা যত বড় অভিনেত্রী, তার থেকেও বড়মাপের নৃত্যগুরু। দক্ষিণী পরিবার থেকে আসা বলে খুব স্বাভাবিকভাবেই  ভারতনাট্যম নৃত্যশৈলীতে গড়েছিলেন নিজেকে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে তিনি কর্নাটক রাগ সংগীতেরও এক প্রথিতযশা শিল্পী। বলিউডে তার অবদান সেমি ক্ল্যাসিকাল ডান্স, যাকে অবলম্বন করে পরবর্তীকালে সরোজ খানের মত কোরিওগ্রাফাররা তাদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পেরেছিলেন।

বৈজয়ন্তীমালা

শ্রীদেবীকে দেখলেই মনে হয় যেন খাজুরাহোর মন্দিরে খোদাই করা অপ্সরা। এক্ষুণি নেমে আসবেন দরবারে। মুহূর্তে ঝলসে উঠবে চারদিক। শ্রীদেবী আর নাচ সমার্থক। তাই বলিউডের সবথেকে জনপ্রিয় ডান্সিং আইকন বোধহয় আজও তিনিই।

শ্রীদেবী

জয়াপ্রদা শ্রীদেবীর সমসাময়িক, পারদর্শী নৃত্যপটিয়সী, দেখতেও চমৎকার। বলিউডের সিনেমাতে একাধিক সুপারহিট ডান্স নম্বর তার ঝুলিতে। রেষারেষি যেমন ছিল, ভালোবাসাও ছিল তেমনই। আর ঝুলিতে 'সরগম' সিনেমার সেই বিখ্যাত 'ডাফলিওয়ালে ডাফলি বাজা। '

জয়াপ্রথা

ভারতীয় পুরুষেরাও যে নেচে দর্শকদের হৃদয়ে ঝড় তুলতে পারেন, তা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে, তা দেখালেন প্রভু দেবা। ‘মুকাবলা’ গানে নেচে পুরুষের নাচ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দিলেন প্রভু। উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে কোরিওগ্রাফ করলেন ঋত্বিক রোশনকে। গান- 'ম্যায় অ্যায়সা কিঁউ হুঁ'। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি প্রভুকে।

প্রভুদেবা

কমল হাসান অসামান্য অভিনেতা। ততোধিক বড় নৃত্যশিল্পী। দক্ষিণী শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রায় সবধারায় তার অনায়াস বিচরণ। বড়পর্দায় গোটা দেশ তাকে দেখলো 'সদমা' সিনেমার বিখ্যাত ডান্স সিকোয়েন্সে। এরপর 'বিশ্বরূপম' সিনেমাতেও তার নৃত্য কৃতিত্বের দাবি রাখে।

সহশিল্পীর সঙ্গে কমল হাসান

গোবিন্দ ন্য়াচারাল ডান্সার। দেখলে বোঝাই যাবে না প্রশিক্ষিত কিনা। তার সিনেমার অন্যতম বড় সাফল্য তার নৃত্যকলা। মা শাস্ত্রীয় সংগীতে পারদর্শী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে শাস্ত্রীয় সংগীত আর নৃত্যের প্রতি ভালোবাসা জাগে গোবিন্দের। রিদম, স্কিল, এক্সপ্রেশনের সমন্বয়ে গোবিন্দ ভারতীয় সিনেমার অন্য়তম বড় ডান্সিং সেনসেশন বললে অত্যুক্তি হবে না।

গোবিন্দ

ঋত্বিক রোশন ভারতীয় সিনেমায় নাচকে রি-ডিফাইন করেছেন বলিউডে। সেই যে 'কহো না প্যার হ্যায়'-এর তালে মাতালেন সকলকে, তারপর একে একে 'ম্যায় অ্যায়সা কিঁউ হুঁ', 'ইউ আর মাই সোনিয়া', 'ইটস ম্যাজিকে'র তালে তালে মেতে উঠলো গোটা দেশ।  বিশ্ব নৃত্য দিবসে আমাদের ভোট অবশ্যই ঋত্বিকের দিকে।

ঋত্বিক রোশন

টাইগার শ্রফ ঋত্বিককে সব কিছুতেই অনুসরণ করেন। তিনিই নাকি ঋত্বিকের ফ্যান নম্বর ১। নাচের দক্ষতার সঙ্গে ঋত্বিকের মতোই মেশালেন ফিটনেস আর অ্য়ক্রোব্যাটিকস। তাতেই তৈরি হলো টাইগার-স্টাইল।

টাইগার শ্রফ

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২১
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।