ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

যে গুজবে বিরক্ত ছিলেন ঐশ্বরিয়া

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
যে গুজবে বিরক্ত ছিলেন ঐশ্বরিয়া ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সুখের দাম্পত্য জীবনেও নানা গাল-গল্প ছড়িয়েছে। মাঝে এমনই একটি গুজব ছড়িয়েছিল, যা নিয়ে বিদেশে গিয়েও প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

সাবেক বিশ্বসুন্দরীকে নিয়ে সবচেয়ে অদ্ভুত গুজব ছড়িয়েছিল ২০০৭ সালে তার বিয়ের পরপরই। বলা হয়েছিল, অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের আগ মুহূর্তে ‘অশুভ লক্ষণ’ এড়াতে ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি গাছের সঙ্গে।

এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি অভিশপ্ত কি না? জবাবে এই বলিউড অভিনেত্রী বলেছিলেন, বিয়ে নিয়ে কিছু গুজব বা মনগড়া গল্প রটতে পারে। কিন্তু এতোটা হবে, সেটা তার কল্পনায়ও আসেনি।

এই গুজবের সূত্রপাত ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের বিয়ের আগের বছর ২০০৬ সালে। এক জ্যোতিষীর উদ্ধৃতি দিয়ে এক সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই জ্যোতিষীর পরামর্শে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক ‘পবিত্র’ শহর বারানসিতে ছিলেন। অকল্যাণ কাটাতে দুই পরিবারকেই প্রাচীন শিব মন্দিরে পূজা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

২০০৭ সালে ২০ এপ্রিল হিন্দু রীতি মেনে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। সেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল বচ্চনদের ‘প্রতীক্ষা’ বাসভবনে। সেই বিয়েতে সংবাদ মাধ্যম পর্যন্ত উঁকিঝুঁকির অনুমতি পায়নি। তাই বিয়ে নিয়ে আগ্রহ ও জল্পনাও পৌঁছেছিল তুঙ্গে।  

গাছের সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়ার মন্তব্য ছিল, এটা ‘অত্যন্ত বাড়াবাড়ি’, যার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। ওই গুজবের জন্য যতো কাগজ আর কালি খরচ হয়েছে এবং টিভি শোগুলোয় যতো আলোচনা হয়েছে, সবই ছিল অযথা।

এই অভিনেত্রী আরো বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে আমি মুখ খুলিনি। সেই দায়িত্ব দিয়েছিলাম বাবাকে (শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন)। উনি সংবাদমাধ্যমকে জবাব দেন।

তার পরিবার কুসংস্কারে বিশ্বাসী নয় জানিয়ে অমিতাভ তখন বলেছিলেন, তার ছেলের বিয়ের সময় ঐশ্বরিয়ার জন্মকুষ্ঠীও চাওয়া হয়নি তার পরিবারের কাছে। বহু ধুমধাম করে অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়, আর অভিষেক নিশ্চয়ই কোনো গাছ নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।