ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

যেভাবে ঘোরে পেঁচার পুরো মাথা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৩
যেভাবে ঘোরে পেঁচার পুরো মাথা

বড় বড় গোল দুটো চোখ, নরম তুলতুলে শরীর আর প্রখর দৃষ্টিশক্তির অধিকারী নিশাচর প্রাণী পেঁচা।

পেঁচার আশ্চর্যজনক একটা বৈশিষ্ট্য আছে, তা হলো এটি তার মাথা প্রায় পুরোটাই বৃত্তাকারে ঘোরাতে পারে।



আমেরিকান বিজ্ঞানীদের মতে, পেঁচা তার গায়ের নরম কিছু হাড় ও নালীগুলোর কারণেই মাথা পুরোটা ঘোরাতে পারে।

এ হাড় ও নালীগুলোই তার মাথার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে যখন সে মাথাটা ২৭০ ডিগ্রিতে ঘোরায়।

জন হকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফিলিপ গেইলোড জানান, পেঁচা এই শারীরিক বৈশিষ্টের কারণেই মাথাটা ঘুরাতে পারে আর আমরা কোন স্ট্রোক করে মরে পড়ে থাকা পেঁচা দেখতে পাইনা যদিও তারা মাথাটা পুরোটা ঘোরাতে পারে।

অনেক পাখিরই ঘাড় অনেক নরম থাকে কিন্তু পেঁচার ঘাড় একটু বেশীই নরম।

মজার ব্যাপার হলো, তারা মাথা পুরোটা ঘোরানোর সময় তাদের চোখের দৃষ্টি বিন্দুমাত্র কাঁপেনা বা পলক পড়েনা।

আর পেঁচার ঘাড়ের হাড় ১৪টা যেখানে মানুষের হাড় সাতটি।

স্ট্রিগিফর্মিস বর্গভূক্ত এই পাখিটির এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০টি প্রজাতি টিকে আছে। কুমেরু, গ্রীনল্যান্ড এবং কিছু নিঃসঙ্গ দ্বীপ ছাড়া পৃথিবীর সব স্থানেই প্যাঁচা দেখা যায়।

বাংলাদেশে ১৭টি প্রজাতির পেঁচা আছে। এরা মূলত নিঃসঙ্গচর। এরা গাছের কোটর, পাহাড় বা পাথরের গর্ত বা পুরনো দালানে থাকে।

পেঁচা দূরবদ্ধদৃষ্টি আছে ফলে এরা চোখের কয়েক ইঞ্চির মধ্যে অবস্থিত কোন বস্তু পরিস্কারভাবে দেখতে পায় না। শ্রবণশক্তি খুব প্রখর। শুধু শব্দ দ্বারা চালিত হয়ে এরা নিরেট অন্ধকারে শিকার ধরতে পারে। সামান্য মাথা ঘুরালে পেঁচা অনুচ্চ শব্দ যেমন ইঁদুরের শষ্যদানা চিবানোর আওয়াজও শুনতে পায়।

চারদিকের ঘোর দুর্যোগ-দুর্বিপাকের মধ্যেও পেঁচারা সরব থাকে। নির্জন রাতে ক্রমাগত ডেকে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অভয়বার্তা প্রচার করে এরা। বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সাহসী মানুষ তখন স্বস্তি পায় এই ভেবে যে গভীর সংকটের মধ্যেও প্রাণিকুল বেঁচে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ২, ২০১৩
সম্পাদনায়: আবুল কালাম আজাদ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।