ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

চর ভদ্রাসানে জরিমানার পরও থেমে নেই গাছ কাটা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
চর ভদ্রাসানে জরিমানার পরও থেমে নেই গাছ কাটা

ফরিদপুর: গাছ কাটার অপরাধে জরিমানা করার পরও থেকে নেই ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সামাজিক বনায়নের বৃক্ষ নিধন।

চর ভদ্রাসন ইউনিয়নের টিলাচর গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়কের দু’পাশে গড়া সামাজিক বন থেকে শনিবারও ১১টি বাবলা গাছ কাটা হয়েছে।



দুপুরে শহিদুল ইসলাম নামের এক প্রভাবশালী তার লোক দিয়ে গাছগুলো কাটান। তিনি একই গ্রামের জয়নাল প্রামাণিকের ছেলে।

জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়েছে।

উক্ত বন প্রভাবশালীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।

চরভদ্রাসনের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পদ্মা নদীতে মাছ ধরার কাটা ফেলার জন্য গাছের কিছু ডালপালা আমি কাটতে বলেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বার্হী (ইউএনও)  অফিসার দিল আফরোজা বেগম বলেন,  ‘আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। গাছ যে ব্যক্তিই কাটুক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর উক্ত বন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৬টি বড় গাছ কাটার খবর পেয়ে চর ভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই গ্রামের আ. মজিদ খানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর উপজেলা বন বিভাগের উদ্যোগে বাঁধের দু’পাশে সামাজিক বনায়ন গড়ে তোলা হয়। বনে বাবলা, জিকা ও ডুমুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ বছরের পুরোনো কয়েকশ’ গাছ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩
আরকেবি/এসই/এএ/আরকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।