আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামী এক সপ্তাহের পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে।
তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় অর্থাৎ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দিনগত রাতে বজ্রঝড়ের আশংকা দেখাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এবার এপ্রিলে আবহাওয়ার যে রূপ দেখা যাচ্ছে, অতীতে এমনটি দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, এই এপ্রিলে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা অতীতের চার দশকের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, নিকট অতীতে বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাতের তেমন একটা রেকর্ড নেই। গত বছর ঠিক এই সময়েও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। অথচ এবার ব্রজসহ বৃষ্টি-ঝড় তুফান হয়েছে। অসময়ে বৃষ্টির এই মাত্রা এতোই বেড়েছে যে, দেশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং হাওরাঞ্চলের জীবন ও জীবিকার উৎস ফসল তলিয়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৪২টি হাওরের সবক’টির ফসল ভেসে গেছে প্লাবনে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫ হাজার ২৮৬ মিলিমিটার। কিন্তু এ বছর স্বাভাবিক মাত্রা ছাপিয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক বৃষ্টিপাত মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হচ্ছে।
তবে বুধবার দিনটিতে অতো বৃষ্টির আশঙ্কা দেখছে না অধিদপ্তর। তারা মনে করছে, বুধবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে। একইসঙ্গে আকাশ তুলনামূলকভাবে রোদ্রৌজ্জ্বল থাকবে।
বৃষ্টি কমে যাওয়ায় এরই মধ্যে ভ্যাপসা গরম অনভূত হচ্ছে। মেঘ রোদের খেলার মধ্যে আগামী কয়েক দিন উষ্ণতা ওপরের দিকে উঠতে থাকবে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ঘরের মেঝে ঘেমে যাওয়ার খবর মিলছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে গত কয়েকদিনে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। পূবালী ও পশ্চিমা বায়ুর মিলনে বাংলাদেশসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হয় এ কয়দিনে। হিমালয় থেকে আসা পশ্চিমা বায়ু কিছুটা শুষ্ক ও শীতল। আর বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে আসা উষ্ণ পূবালী বায়ু জলীয় বাষ্প মেশানো। এমন বৈরী আবহাওয়ায় গত ক’দিন উত্তাল ছিল সাগরও।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এসএ/এইচএ/