ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

মুরগির দোকান থেকে উদ্ধার শামুকখোল পাখি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
মুরগির দোকান থেকে উদ্ধার শামুকখোল পাখি! উদ্ধার হওয়া শামুক খোল পাখি

রাজশাহী: নগরীর একটি মুরগির দোকান থেকে লম্বা ঠোঁটের বিরল প্রজাতির দুটি শামুকখোল পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুর কাঁচা বাজারের ওই মুরগির দোকান থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।

পরিবেশবাদী বেসরকারি সংস্থার (সেভ দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ) উদ্যোগে সচেতনতামূলক লিফলেট বিরতণ কার্যক্রম চালাতে গিয়ে পাখি দুটি উদ্ধার হয়।

পরে তাদের উদ্যোগেই উন্মুক্ত স্থানে গিয়ে শামুকখোল পাখি দুটি আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।    

সেভ দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ এর সংগঠক রুম্মান হোসেন জানান, বন্যপ্রাণী রক্ষায় তারা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগরীর লক্ষীপুর কাঁচা বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন।  

প্রচারণাকালে মুরগির দোকানে দুটি শামুকখোল পাখি দেখতে পান। এ সময় বিক্রেতা এই পাখি চেনেন না এবং আইনের বিষয়টিও তার জানা নেই বলে দাবি করেন। এছাড়া এমন পাখি আর বিক্রি করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন। পরে তাদের উদ্যোগেই পাখি দুটি উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান সংগঠক রুম্মান হোসেন।  

এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবহিত নন। তাৎক্ষণিকভাবে পাখি দুটি উদ্ধার ও অবমুক্ত করে দেওয়ায় তারা হয়তো জানতে পারেননি। তবে সচেতনতা বাড়াতে ‘সেভ দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ’ নামের বেসরকারি সংস্থাটি রাজশাহীতে কাজ করে বলে তারা জানেন।  

বন বিভাগের উদ্যোগেও এমন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। এছাড়া মাঝে-মধ্যেই মহানগরীর বিভিন্ন পাখির দোকানে বন বিভাগের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় বলেও জানান বিভাগীয় এই বন কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, শামুকখোল লম্বা ঠোঁটের বড়সড় আকারে জলচর পাখি। অদ্ভুত ঠোঁটের জন্য খুব সহজে অন্যান্য পাখি থেকে একে আলাদা করা যায়। পাখির দেহ একদম সাদা দেখায়। কাঁধ-ঢাকনি, ডানার প্রান্ত-পালক, মধ্য পালক ও লেজ সবুজাভ কালো।  

চোখের চারদিকের চামড়া পালকহীন। পা লম্বা ও পায়ের পাতা অনুজ্জ্বল মেটে রঙের। শামুকখোল হাওর, বিল, মিঠাপানির জলা, ধানক্ষেত, উপকূলীয় বন ও নদীর পাড়ে বিচরণ করে। সচরাচর ছোট ঝাঁকে থাকে। ভোরে আবাস ছেড়ে খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। এরা সাধারণত ডানা ঝাপটিয়ে দল বেঁধে জলাভূমির দিকে উড়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।