ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

আফ্রিকান ক্লাইমেট ট্রেন

আব্দুল্লাহ আল রেজ়ওয়ান নবীন, ডারবান থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১১
আফ্রিকান ক্লাইমেট ট্রেন

আব্দুল্লাহ আল রেজ়ওয়ান নবীন
ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট চ্যাম্পিয়ন, ব্রিটিশ কাউন্সিল
বাংলাদেশ ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট (বিওয়াইএমসি)
www.facebook.com/BDYOMOCI

 

কপ ১৭
জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ ১৭ শুরু হতে যাচ্ছে ২৮ নভেম্বর। জাতিসংঘের ১৯৪টি সদস্যদেশ এতে অংশ নেবে।

১২ দিনব্যাপী চলবে এই সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো প্রধানত দুটি সমঝোতায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যা পরিবেশ বান্ধব শক্তি এবং অভিযোজন সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি অ্যাডাপটেশন/ অভিযোজনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি কাঠামোগত প্রস্তাবসহ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড নিয়েও আলোচনা হবে। অন্যটি হচ্ছে বিশ্বের তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সরকারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করা হবে।

একমাত্র আইনগত বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তি কিয়োটো প্রটোকল নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।

কনফারেন্স অব ইয়ুথ
প্রতি বছর কপের আগেই সম্মেলনে অংশ নেওয়া তরুণদের জন্য আয়োজন করা হয় কনফারেন্স অব ইয়ুথ। তরুণদের এই সম্মেলন থেকে এডভোকেসি, নেটওয়ার্কিং, ইয়ুথ মুভমেন্ট গড়ে তোলা, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান আর্জন, জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে আলোচনায় অংশ নেওয়া, মিডিয়া ক্যাম্পেইন, থিওরিজ় অব চেইঞ্জ, বনায়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে কপ থেকে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

সম্মেলনের শেষ দিনে পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্রিনপিসের প্রধান কুমি নাইডু তরুণদের উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‌‌‌‌‍‌‌‌‌‌‌‍‍‍‍‍‌‌‌‌‌‌‌‌আগামী দিনের নাগরিকদের এখনই এগিয়ে আসতে হবে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য। এবারে দক্ষিণ আফ্রিকা ইয়ুথ ক্লাইমেট কোয়ালিশন গঠন করা হয়েছে।

আফ্রিকান ক্লাইমেট ট্রেন
 মোবিলাইজেশন, ডায়ালগ ও ক্লাইমেট জাস্টিস এই স্লোগান নিয়ে আফ্রিকান ট্রেন যাত্রা শুরু করে ৩৩ দিন আগে। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৭টি শহর ঘুরে আজ ডারবান এসে পৌঁছায় কপ ১৭ তে অংশ নেওয়ার জন্য। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে এই ট্রেন যাত্রা শুরু করে কপ ১৭ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আফ্রিকান মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য।

আয়োজনটির অন্যতম উদ্যোক্তা দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রানালয়, রেল কতৃপক্ষ, ব্রিটিশ কাউন্সিল, দক্ষিণ আফ্রিকার জার্মান দূতাবাস। এই ট্রেন যাত্রার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পাবলিক যানবাহনের ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো।

আফ্রিকান ক্লাইমেট ট্রেনকে ডারবানে বরণ করার জন্য ডারবান রেলস্টেশনে ছিলেন ডারবানের মেয়র, ব্রিটিশ কাউন্সিলের চ্যাম্পিয়নরা। আফ্রিকান গান ও সুরের তালে তাদের স্বাগত জানায় সাধারণ আফ্রিকানরা। এই ধরনের আরো মজার এবং চমৎকার আয়োজনের মধ্যে কপ১৭ কে সার্থক করে তোলার চেষ্টা করছে সুশীল সমাজ।
 
বাংলাদেশকে চেনার মত যতগুলো আন্তর্জাতিক বিষয় আছে তার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি। কারণ ডারবানে এসে আফ্রিকান ক্লাইমেট ট্রেনে দেখি বাংলাদেশি একটি ছেলের আঁকা ছবি প্রিন্ট করে লাগানো হয়েছে। যেখানে সে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তুলে ধরেছে চমৎকারভাবে।

অপরদিকে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আরেক ক্লাইমেট চ্যাম্পিয়ন রিফাতের ভাসমান বাড়ির ছবি জায়গা করে নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের লিফলেটে। এসব ছবি কপ ১৭ তে অংশ নেওয়া ডেলিগেটদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এইতো গেলো ছোটদের কথা, বড়রাও কিন্তু জোরালোভাবে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরছে বিভিন্ন সেশনে।

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে কপ ১৭। আলোচনা শুনতে শুনতে সবাই অনেকটাই ক্লান্ত। দেখা যাক, ডারবানে কিছু হয় কিনা।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।