৩০টি অগজরের ডিম থেকে এখন পর্যন্ত ৫টি বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এসব ডিম থেকে একে একে বাচ্চাগুলো পৃথিবীর আলো দেখতে শুরু করে।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, এর আগে ওই অজগরটি প্রথম ২০০২ সালের মে মাসে ৩২টি ডিম পেড়েছিল। ডিম পাড়ার ৫৯ দিন পর ২৮টি বাচ্চা ফুটেছিল। ২০০৪ সালের ১৩ মে ৩৮টি ডিম দেয়। সেবার ৬০ দিন পর বাচ্চা ফুটেছিল ৩২টি। সবশেষ ২০১১ সালের মে মাসে ৩০টি ডিম দেয়। চতুর্থ দফায় গত ৯ জুন শনিবার রাতে অজগরটি ৩০টি ডিম দেয়। ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অজগরটি নিজেকে বৃত্তাকারে গুটিয়ে নিয়ে ডিম ঢেকে রেখে ‘তা’ দিতে শুরু করে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে বন্যপ্রাণী সেবা আশ্রমে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য ফোটানো বাচ্চাগুলোর নিরাপত্তায় সাপটি উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। মানুষের উপস্থিতিতে তেড়ে আসছে। তবে এ পর্যন্ত কতটা ডিম ফুটেছে তা জানা যায়নি।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে পরিচালক সজল দেব বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত থেকে অজগর ছানাগুলো ফোটা শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ছানা বের হয়েছে। সবগুলো ডিম ফুটতে আরো সময় লাগবে।
তিনি আরো বলেন, ছানাগুলো ডিম থেকে বেরুলে তাদের ভালো করে পর্যবেক্ষণের পর সিলেটের চিরসবুজ বনাঞ্চলে ছাড়া হবে।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, এটি বার্মিজ পাইথন যার বৈজ্ঞানিক নাম Python molurus. এই অজগরের আকার ও বয়সের ওপর নির্ভর করে তার ডিমের সংখ্যা। বয়স ও আকার যত বাড়বে ডিমের সংখ্যাও বাড়বে। খাঁচায় বন্দি অবস্থায় অজগরের বাচ্চা ফুটলে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়।
এই সাপের ১০৭টি পর্যন্ত ডিম দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। মার্চ থেকে জুন মাসে এরা ডিম দেয়। ডিম ফুটতে প্রায় ৬০ দিন সময় লাগে। আমাদের দেশে এই প্রজাতির সাপ চট্টগ্রাম বিভাগ, সিলেট বিভাগ ও সুন্দরবনে দেখা যায়। পাখি থেকে বড় হরিণ, ছাগল সবই তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে বলে জানান বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ।
***৩০টি ডিম পেড়ে তা দিচ্ছে অজগর
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
বিবিবি/এএ