ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা সুন্দরবনের ‘ডিমের চর’

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা সুন্দরবনের ‘ডিমের চর’

খুলনা: একপাশে কাশবনের সারি অন্যদিকে নরম বালির বিচ। নদীর জলরাশি আর ঢেউয়ের গর্জন সাথে হিমেল হাওয়ায় মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা বঙ্গপোসাগরের বুকে জেগে উঠা সুন্দরবনের ডিমের চর। সৃষ্টিকর্তা যেন রূপসী বাংলার সব রূপ ঢেলে দিয়েছে বালির আঁচলে।



নদীর লোনা জলে রৌদ্রস্নান আর সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকনসহ শরীরের প্রশান্তি জুড়াবে। ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় সমুদ্রসৈকতের ভিন্ন রূপ আর সন্ধ্যার পরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। শরৎ বিদায় নিলেও চরাঞ্চলজুড়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য ছড়ানো কাশবন আলাদা মাত্রা যোগ করছে ডিমের চরের।



সুন্দরবনে বেড়াতে আনা পর্যটকদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে ডিমের চর। যেখানে নির্জনতা আছে, আছে ভয়। অতিপ্রাকৃত, অপার্থিবও এ চর। এর পাশেই আরেকটি চর আছে, নাম হলো পক্ষির চর। নীল আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে ঢেউ খেলানো কাশবন ও বিচে আছড়ে পরা ঢেউয়ের সাথে ছবি তুলে পর্যটকরা স্মৃতি নিয়ে ফেরেন ডিমের চর থেকে।



জানা গেছে, ডিমের চরটিকে দেখতে অনেকটা ডিমের মতো বলে এটাকে ডিমের চর বলা হয়। কটকা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লঞ্চে চরে ডিমের চরের মোহনায় পৌঁছাতে হয়। কটকা থেকে খুবই কাছে ডিমের চরের অবস্থান। এই সৈকতটি নির্জন এবং পরিচ্ছন্ন। বেলাভূমিজুড়ে শুধুই দেখা যায় কাঁকড়াদের শিল্পকর্ম। অন্যপাশে বিশাল কাশবন। সন্ধ্যায় এখান থেকে বিচিত্র এক আকাশের দেখা মেলে। কটকা সি-বিচ ভেঙে যাওয়ায় পর্যটকরা এখন ডিমের চরের বিচে বেশি আসছেন।
ঢাকা থেকে ডিমের চরে ঘুরতে আসা আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, ডিমের চর সমুদ্রসৈকতের বিচের মতোই। একদিকে উত্তল তরঙ্গমালা অন্যদিকে কার্বনের রাজ্য। সবমিলে অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা ডিমের চর।



ডিমের চরে ঘুরতে আসা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এখানে ঘুরতে এসে খুব ভালো লাগছে। এর আগে সমুদ্রে গেছি কিন্তু এটার মতো ভালো লাগেনি। একপাশে নদী অন্যপাশে কাশবন। পরোটাই এডভেঞ্চারের মতো। আমাদের সঙ্গে বন্ধুরা আছে, জুনিয়র ও সিনিয়ররা আছে। একে অন্যকে পানিতে চুবিয়েছি। খুব মজা হয়েছে। সবাই মিলে মজা করেছি।



পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ডিমের চর কচিখালী অভয়ারণ্যের আওতাধীন একটি চর। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এ জায়গাটি খুবই আকর্ষণীয়। এখানে এলে প্রচুর হরিণের দেখা যায়। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা মনোমুগ্ধকর এই ডিমের চরে জলরাশি ও ঢেউয়ের গর্জনের সাথে আনন্দে মেতে পর্যটকরা গোসল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।