ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

মৃত নক্ষত্র সেরেসে এলিয়েনের ছাপ!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
মৃত নক্ষত্র সেরেসে এলিয়েনের ছাপ!

ঢাকা: মহাশূন্য মানেই কৌতূহল। মহাশূন্য মানেই যেন প্রতিদিন নতুন কোনো না কোনো কিছুর আবিষ্কার।

আর তা যদি হয় এলিয়েন প্রসঙ্গে, তাহলে তো কথাই নেই!

কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে তা জানার জন্য প্রতিনিয়তই মহাশূন্যে পাঠানো হচ্ছে নভোযান। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গত ২৫ জানুয়ারি নাসা তাদের অভিযাত্রার এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। এদিন তারা ডেথ স্টার প্ল্যানেট সেরেসে নভোযান পাঠায়। এ নভোযানটি প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার মাইল দূর থেকে ছবি তুলে পাঠিয়েছে।


কিন্তু এমন কতশত ছবিই তো আসছে প্রতিনিয়ত। ব্যতিক্রম আর কী! কিন্তু না, ব্যতিক্রম এখানেই যে, এসব ছবিতে সেরেসের গায়ে দেখা গেছে একটি সাদা চিহ্ন। যা এলিয়েনের ছাপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

নভোযানের তোলা সব হাই ডেফিনেশন ছবিগুলো ৪৩ পিক্সেল চওড়া ও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর আগে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে নাসার হাবল টেলিস্কোপ দেড়শ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে তুলেছিল এ গ্রহের ছবি। তবে সাম্প্রতিক ছবিগুলো আগের তুলনায় অনেক উন্নত।

নাসার গ্রহ বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক জিম গ্রিন বলেন, আমরা সুবিশাল সৌরজগত সম্পর্কে খুবই কম জানি! তবে এ মিশনকে ধন্যবাদ কারণ, এর জন্যই হয়তো সব রহস্যের অবসান হবে।

সেরেস গ্রহের ওপর রহস্যজনক সাদা দাগটিকে নাসার বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এ দাগটি বরফাচ্ছন্ন অংশের ভেতরকার উজ্জ্বল ঝলকানি হতে পারে।

এ বিষয়ে গবেষণাটির পরিচালক ও প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মার্ক রেইমান বলেন, আমরা নিশ্চিত যে, গ্রহটি অনেক বেশি সূর্যালোক প্রতিফলিত করে। তাই এমন অদ্ভুত দাগ দেখা যেতে পারে। তবে তার বাকি অংশে বরফ ছাড়া আর কী রয়েছে তা এখনো একটি রহস্য। খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে গ্রহটির আরও কিছু ঝকঝকে ছবি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সৌর জগত সম্পর্কে অনেক জানলেও, সেরেস গ্রহ সম্পর্কে তেমন জানি না বললেই চলে।

১৮০১ সালে আবিষ্কৃত হয় সেরেস। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, গ্রহটির উপরিপৃষ্ঠ সেকেন্ডে ছয় কেজি পানি নির্গত করে।

অন্যদিকে, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির হার্শেল টেলিস্কোপ দাবি করছে, তারা অতি শিগগিরই গ্রহটির জিসার্স বা বরফ আগ্নেয়গিরি নিয়ে সামনে হাজির হচ্ছে।

সেরেসের কক্ষপথ মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে। এটি বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা ও শনির চাঁদ এনসেলাডাসের চাইতেও আকারে অনেক ছোট।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।