ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

তুমি-আমি মিলে

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
তুমি-আমি মিলে

ঢাকা: দাম্পত্য জীবন সুখের হওয়াই কাম্য। একসঙ্গে বসবাস করার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য, সহনশীলতা, সহানুভূতি ও আত্মত্যাগের মানসিকতা।

ভালোবাসার প্রথম দিনটি বা বিয়ের শুরুতে যদি কিছু নিয়ম ও প্রতিজ্ঞা দিয়ে শুরু হয়, তাহলে খুব সহজেই পাড়ি দেওয়া যায় নতুন জীবনের অসমতল পথগুলো।

পুরুষ হোক বা নারী। বিয়ের দিন থেকে দু’টো জীবনের গতিই পাল্টে যায়। পাল্টে যায় আগের নিয়মনীতি ও চিরাচরিত অভ্যাসগুলো। কিন্তু পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও একে অন্যের পাশে থাকার মানসিকতা বদলে দিতে পারে গোটা জীবনটাই।

শুধু নব দম্পতিরা কেন! ভালোবাসার এ মাসটিতে পুরোনো সম্পর্কগুলোও সজীব হয়ে উঠুক। এর জন্য প্রয়োজন নিজের ভাবনার জায়গাগুলোকে একটু বদলে নেওয়া।

পারস্পরিক শ্রদ্ধা

একটি সম্পর্কের জন্য শ্রদ্ধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, আমরা কেউই কারও মতো নই, সবাই ভিন্ন। নিজেদের ভেতরের মিলগুলো নিয়ে আনন্দে থাকুন আর ভিন্ন দিকগুলোকে সম্মানের চোখে দেখুন। পারস্পরিক অভ্যাস, চলাফেরা, ধ্যান ধারণাকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখুন ও প্রয়োজনে উৎসাহ দিন।

নির্ভুলতার চেয়ে সত্যতা জরুরি

ভালোবাসা নির্ভুল হওয়ার চাইতে সত্য হওয়া জরুরি। মানুষ মাত্রই ভুল করে। ভুল হতেই পারে। তা নিয়ে হতাশায় ভুগবেন না। বা প্রিয় মানুষটিকে অতিরিক্ত দোষারোপ করবেন না। বরং দুজনেই সৎ থাকার চেষ্টা করুন। সত্য বলুন। কোনো কাজে আটকে গেলে বা ফিরতে দেরি হলে সত্য কথাটিই তাকে জানান। মিথ্যে অজুহাত দেখাবেন না। মনে রাখবেন, সত্য যতই নির্মম হোক না কেন, মানুষের মনে তা স্বচ্ছতার জন্ম দেয়। তাই সম্পর্ককে রাখুন জলের মতোই স্বচ্ছ।

বিশ্বাস

একে অপরের বিশ্বাসভাজন থাকা ও বিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করুন। যিনি আপনাকে এত বিশ্বাস করেন, তার বিশ্বাস ভেঙে দেবেন না। মনে রাখবেন, বিশ্বাসই শ্রদ্ধার জন্ম দেয়। আর একটি কথা, কোনো কাজ করার পর অপরাধবোধ হলে তার কাছে ব্যাপারটি খুলে বলুন, এতে সংকোচ হতে পারে। কিন্তু এতে তিনি আপনার ভেতরের সচেতনতাকে অনুভব করতে পারবেন। ফলে সম্পর্কের প্রাচীর হবে আরও মজবুত।

সাহসিকতা

ভালোবাসার আরও একটি অন্তর্নিহিত ব্যাপার হচ্ছে সাহসিকতা। সত্যিকারের ভালোবাসা মানুষকে সাহসী করে তোলে। নিজেদের ভেতরকার ভালোবাসাকে উন্মুক্ত করুন। প্রাণভরে উপভোগ করুন ভালোবাসার প্রতিটি অনুরণন।

একবার হলেও বলুন ভালোবাসি

মুখে বললেই ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা ব্যাপারটি আচরণেই প্রকাশ পায়। কিন্তু একটা কথা জেনে রাখুন, আপনার সঙ্গীকে আপনি যত ভালোই বাসুন না কেন, তাকে দিনে একবার হলেও মুখে জানান, আপনি তাকে অনেক ভালোবাসেন। কারণ আপনার অগাধ ভালোবাসায় তার মনের চাহিদা পূরণ হলেও কান যে কিছু শুনতে চায়। এ ব্যাপারটি খুব জরুরি।  

হাসুন প্রাণখুলে

সারাদিন পর বাড়ি ফিরে দু’জনেই যখন ক্লান্ত, তখন দু’জনেই হয়ে উঠুন একে অপরের আনন্দের মাধ্যম। একসঙ্গে গল্প করুন, কফি খান আর প্রাণ খুলে হাসুন। যখনই সময় পান একে অপরকে খুশি রাখতে আর হাসাতে চেষ্টা করুন। এতে দু’জনের কাছে দু’জনের গুরুত্ব অনেকগুন বেড়ে যাবে। দু’জনেই খুঁজে পাবেন বেঁচে থাকার মানে।

গর্ববোধ করুন

দু’জনই দু’জনকে নিয়ে গর্ববোধ করুন এবং এই ব্যাপারটি প্রিয় মানুষটিকে জানান। এটা খুব জরুরি।

তুমি-আমি দু’জনে

এখনকার দিনে নারী-পুরুষ সবাই ঘরের বাইরে কাজ করছে। তাই অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে দু’জনে মিলেই বানিয়ে ফেলুন চা, কফি বা কোনো মজাদার স্ন্যাকস। ছুটির দিনে ভাগাভাগি করে রান্না করুন। বিচার করুন একে অপরের পারদর্শিতা। হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠুন একে অপরকে নিয়ে।

ভালোবাসার এ মাসটিতে জাগিয়ে তুলুন নিজের ভালোবাসাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।