ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

স্ন্যাপচ্যাটে ভূত!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫
স্ন্যাপচ্যাটে ভূত!

ঢাকা: ফেসবুক, হোটসঅ্যাপ, ইউটিউবের এ যুগেও মানুষের মনে ভূতের ব্যাপারে শঙ্কা কাটেনি। কমেনি কৌতূহল।

কেউ ভূতে বিশ্বাস করেন, আবার কেউ মনে করেন ভূত মানুষের অবচেতন মনের কল্পনা মাত্র। আবার অনেকেই বলেন ভূত না থাকলেও অদৃশ্য আত্মা বা জ্বিনের বিচরণ পৃথিবীতে আছে বৈকি! কিন্তু ভূত থাক বা না থাকু, পৃথিবীতে অহরহই ঘটছে ভৌতিক ঘটনা।

এতকিছু বলার কারণ, আয়ারল্যান্ডে প্রায় কাছাকাছি সময়েই ঘটেছে দু’টো বিচ্ছিন্ন ভৌতিক ঘটনা। আর দু’টোই ধরা পড়েছে স্ন্যাপচ্যাট ইমেজে। যা দেখলে আপনার মেরুদণ্ড বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে যেতে পারে!

চোদ্দ বছর বয়সী গ্রেইনি ডডল নিজের ঘরে সেলফি তুলে ছবিটি স্ন্যাপচ্যাটে এক বন্ধুকে পাঠাচ্ছিল। সে সেলফি তোলায় এতই ব্যস্ত ছিল যে খেয়ালই করেনি তার পেছনের জানালায় অদ্ভুত কিছু থাকতে পারে। কিন্তু সেলফি পাওয়ার পর তার বন্ধু সেটা খেয়াল করে স্ক্রিন শট নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটেই গ্রেইনিকে ছবিটি পাঠায়। স্ক্রিনশটটি দেখে গ্রেইনি প্রায় আঁতকেই উঠেছিল।
 
গ্রেইনির বোন সিনাড জানান, গত একমাস ধরেই তার পরিবার কিছু অদ্ভুত ঘটনা সম্মুখীন হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ির বয়স মাত্র দশ বছর। কিন্তু গত কয়েক মাসে বাড়ির নিচতলায় অপ্রত্যাশিত পায়ের ছাপ, গোলমাল ও শব্দ শুনতে পাচ্ছি আমরা।

ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তর আয়াল্যান্ডবাসী বাথনি হার্ভের সঙ্গে। বাথনি তার বোন আর ভাগ্নের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্তে সেলফি তুলে ফটো শেয়ারিং অ্যাপসে পাঠায়। কিন্তু ছবিটি আপলোড করার পরও সে বোঝেনি আসল বিষয়টি। ছবিতে তার আর তার ভাগ্নের মাঝে দেখা গেল আরও এক অর্ধমানবীকে!

বাথনি বলেন, আমি আর আমার ভাগ্নে বসার ঘরে সেলফি তুলছিলাম। তখন আমার বোনও পেছন থেকে লাফ দেয় ছবি তুলতে। তাই আমি ছবিটি ‘ফটো বম্ব’ ক্যাপশন দিয়ে আপলোড করি ।

কিন্তু তখন মোটেও মনে হয়নি যে ঘরে আমারা তিনজন ছাড়া কোনো অদৃশ্যমানব থাকতে পারে। তিনি শাঙ্কাজড়িত কণ্ঠে জানালেন, আমার বন্ধু রাতে এসে আমাকে ছবিটি ভালোভাবে দেখালো। আমি তো আগে খেয়ালই করিনি। দেখলাম যে আমাদের তিনজনের পেছনে একজন নারীর অর্ধেক দেহ দেখা যাচ্ছে।  

বাথনি নিশ্চিতভাবে জানান যে তারা ছাড়া সেসময় বসার ঘরে কেউ ছিল না। তাহলে কে এই অর্ধমানবী! কি করেই বা এখানে এলো সে?

বাথনি আরও জানান, আমার এখন বসার ঘরে অন্ধকারে যেতে ভয় লাগে। কারণ সবসময়ই মনে হয় যে সেখানে গেলে আমি হয়তো অস্বাভাবিক কিছু দেখবো। যা সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।