ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

কাটিয়ে উঠুন অলসতা

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫
কাটিয়ে উঠুন অলসতা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সকাল বাজে ৮টা। অথচ অফিস ৯টায়।

আপনি এখনও বিছানায় গড়াগড়ি করছেন। গোসল, নাস্তা আর সবকিছু গুছিয়ে নিতেই তো লেগে যাবে আধঘণ্টা। আর যানযট পেরিয়ে অফিস পৌঁছাতে সময় তো লাগবেই!

এভাবে রোজই দেরি হচ্ছে অফিসে। বসের কড়া নজর আপনার উপর। গোটা বিষয়টির পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আলসেমি। এ ব্যাপারে আপনি নিজেই অবগত। তবে সেটা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তাইতো!

বাড়ি ফিরেও করি করি করে করা হচ্ছে না অনেক কাজ। অথচ কাজে অবহেলার জন্য ভুগছেন আপনি নিজেই। ঘর গোছানো, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কেনাকাটাসহ অনেককিছুই ছেদচিহ্নের বেড়াজালে আটকে রয়েছে। এ বেড়াজাল থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য সহজ কিছু টিপস।

সুন্দর পরিসর
বাড়ি হোক বা অফিস, সুন্দর পরিবেশ ছাড়া কোনো কাজ করতেই মন চাইবে না। অপরিষ্কার, অগোছালো পরিবেশ এমনিতেই মনকে অবসন্ন করে তোলে। আর অবসন্ন মন নতুন কিছু সৃষ্টিতে সায় দেয় না। তাই বাড়ি বা অফিসে নিজের ডেস্ক সবসময় পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাড়ি ফিরে জামাকাপড়, বিছানা, টেবিল, লিভিং রুম গোছান। স্নানঘর ঝকঝকে রাখুন। নিজের কম্পিউটার ডেস্ক গুছিয়ে রাখুন। কাজ জমাবেন না। রোজকার আবজর্না রোজই পরিষ্কার করুন।

শুরু হোক সুপ্রভাতেই
সকাল যেমন দিনের শুরু, তেমনি নতুন কোনো কাজ শুরুরও শুভ সূচনা। বর্তমানে রাতে আগেভাগে শুতে যাওয়া সম্ভব নয়। তবুও চেষ্টা করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিছানায় যেতে। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে গোসল, নাস্তা ও যাতায়াতের সময়, সবকিছু বুঝে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিন। মাথায় রাখুন, অফিসে যেন কিছু সময় আগেই পৌঁছাতে পারেন।

কাজের তালিকা
দৈনন্দিন কাজের একটি যথাযথ তালিকা তৈরি করুন। এতে কাজকে দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক, এ তিনটি ভাগে ভাগ করুন। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ও কম গুরুত্বপূর্ণ কাজও আলাদা করে নিন।

নোটবুক
সবসময় একটি নোটবুক সঙ্গে রাখুন। অনেক সময় বিভিন্ন কাজের চাপে আমরা অনেক কিছু করতে ভুলে যাই বা করি করি করেও করা হয় না। নোটবুকে লিখে রাখার ফলে বারবার চোখে পড়ে, তাই কাজটি যথাসময়ে করা সম্ভব হয়।

নিজেকেই বলুন
অনেক সময় মন চাইলেই করতে পারে অনেক কাজ। মনে মনে একবার হলেও বলুন, আমি পারবো, আমি করবো! দেখবেন, এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে। কাজ করতে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।

নিজের ব্যক্তিত্বের কথা ভাবুন
একটি কথা ভাবুন, যারাই জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন, তাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে নিজেদের পরিশ্রম ও পরিপাটি নিয়মতান্ত্রিক জীবন। যেকোনো কাজই সময়মত করুন। এতে লাভবান আপনিই হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।