ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ভূতের সঙ্গে ছবি!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৫
ভূতের সঙ্গে ছবি! ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: মানুষ মরে গেলে ভূত হয়ে যায়- এ ধারণা পোষণ করার মানুষ নেহাৎ কম নয়। শৈশবে আমরা পড়েছি নানান রকম ভূতের কাহিনী।

ইদানীং বিভিন্ন ভৌতিক নাটক, সিরিয়াল আর সিনেমাও হচ্ছে সেসব কাহিনী নিয়ে। অনেকে ব্যাপারটাকে নিছক মজা হিসেবে উড়িয়ে দিলেও রাতে কবরস্থান বা শ্মশান পেরুনোর সময় ঠিকই তাদের গা ছমছম করে। মনে হয় মৃত আত্মাগুলো বুঝি ঘোরাঘুরি করছে আশপাশেই।

যে গল্পটা আজ বলবো তা নতুন করে পুরোনো এ ধারণটিকে সত্যরূপ দিলেও দিতে পারে। তবে তা এখনও গবেষণাসাপেক্ষ। যাইহোক শুরু করি তবে।

সোনারোদমাখা একটি দিনে কিম ডেভিসন ও জেসি লিউ তাদের তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ডের লকইয়ার নদীর মারফি’স হোলে। খানিকটা আনন্দঘন সময় কাটাতেই জলে নেমেছিলেন তারা। সাঁতারের এক ফাঁকে সময়টাকে স্মৃতির পাতায় টুকে রাখতে একসাথে ছবিও তোলেন।


সেই ছবিটিই জন্ম দিলো রহস্যের। কিম ও জেসির সঙ্গে ছিরো তিনটি শিশু। অর্থাৎ, তারা ছিলেন মোট পাঁচজন। তবে ছবিতে দেখা গেল ছয়জনকে! দু’জন নারীর সঙ্গে চারটি শিশু। তবে কে এই চতুর্থ শিশুটি?

প্রশ্নের উত্তরে ডেভিসনের উক্তি- আমি প্রতিজ্ঞা করে বলতে পারি ছবিটি তোলার সময় আমাদের মাঝে অন্য কেউ-ই ছিলো না।

অস্ট্রেলিয়াবাসী কিম ডেভিসন তাদের এ ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তার কাছে গোটা বিষয়টাই অলৌকিক মনে হতে লাগলো যখন তারা জানতে পারলেন যে এখন থেকে প্রায় একশ বছর আগে ঠিক একই স্থানে একটি ছোট্ট মেয়ে ডুবে মারা গিয়েছিলো।


গবেষকরা জানান, ছবিতে যেখানে বাড়তি প্রাণীটিকে দেখা যাচ্ছে ঠিক সেখানেই ১৯১৩ সালে ডোরিন ও’সালিভান নামের ১৩ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু ডুবে মারা যায়। তবে এটাই কি তার অদৃশ্য আত্মা, যা খালি চোখে দেখা না গেলেও ধরা পড়েছে ২০১৪ সালের  ক্যামেরার ফ্রেমে!


ছবির বাড়তি অবয়বটি দেখে রীতিমত আঁতকেই উঠেছেন তারা। ধবধবে সাদা মুখ ঘন কালো চোখ। শিংয়ের মতও কিছু রয়েছে। হয়তো এটা মাথার কোনো অংশ হবে। ডেভিসন জানান, ছবিটি তোলার সময় মনে একবারও আসেনি যে আমাদের আশপাশে আরও কেউ রয়েছে বা থাকতে পারে। আমি আমাদের ছোট্ট মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। আর ছবিতে আমার পাশেই শিংওয়ালা অদৃশ্য প্রাণিটি। তবে এটা মানুষ হবে বলে আমার মনে হয়না।


তিনি আরও বলেন, জিনিসটার শরীরের অংশ আমার ও আমার মেয়ের শরীরের ওপরে দেখা যাচ্ছে। লম্বা কঙ্কালের মতো অনেকটা। ফেসবুকে এই ছবিটিতে পড়েছে বেশ কতগুলো কমেন্ট।

কেউ বলছেন ‘হর্নস, আবার কেউ বলছেন ‘দুটি পনিটেল’। এদিকে ব্রিসবেনের সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ১৯১৩ সালের ২২ নভেম্বর ওই স্থানে একটি মেয়ের মৃত্যু হয়। জেমস ও’সালিভানের বড় কন্যা ডোরেন ও’সালিভান নামের ১৩ বছর বয়সী মেয়েটি ২২ নভেম্বর শুক্রবার সেখানে সাঁতার কাটার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে।


মারফি হোল জায়গাটিকে সবসময় বিপদজনক বলেই বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি ২০ ফুট গভীর। ফলে কেউ সেখানে পড়ে গেলে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।  

শেষ পর্যন্ত ডেভিসন বলেন, হয়তো ডোরেনের আত্মাই সেখানে বিরাজ করছিলো!

মারফি হোলের ঘটনাটি ছাড়াও এমন ভৌতিক ঘটনার আনাগোনা রয়েছে আরও কিছু জায়গায়। যেমন পশ্চিম ওয়েলসের লেইমালির একটি বারে রাতে ভূতের তাণ্ডব দেখেছেন বলে জানান ও বারের মালিক।

এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজও রয়েছে তার কাছে। সেখানকার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এসব ঘটনা। মালিক ডেভিড ল্যাঙলি ইভান্স জানান, গত দশ বছর ধরেই এ এলাকায় নানা ভৌতিক ঘটনা দেখে আসছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
এএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।