ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ফেলে দেওয়া খাবারের রেস্তোরাঁ

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫
ফেলে দেওয়া খাবারের রেস্তোরাঁ

পৃথিবীতে কতো মানুষ খেতে পায় না। আবার কতো ভালো আর তাজা খাবারও ধনী মানুষেরা ক্ষুধার্তকে না দিয়ে ফেলে দেয় ময়লার ঝুড়িতে।

উন্নত বিশ্বে এটা ঘটে অনেক বেশি মাত্রায়। প্রাচুর্যের দেশ আমেরিকায় খাদ্যের অপচয় হয় সবচে বেশি। যুক্তরাজ্যে অপচয়টা সে তুলনায় কম। কিন্তু কতো কম? লিভারপুল শহরেই ৩৫ ভাগ টাটকা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের গন্তব্য হয় ময়লার ঝুড়িতে।

খাদ্যের এই অপচয় মানতে পারেননি সে দেশের দুই তরুণী। তারা বিভিন্ন সূত্র থেকে লোকের ফেলে দেওয়া তাজা খাবার সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য লিভারপুল শহরে এক রেস্তোরাঁ খুলে বসেছেন।

এরা হচ্ছেন গ্যাবি হোমস ও নাটালি ক্রিয়ান। দুজনেরই বয়স ২৩। ঘরে তৈরি এসব পরিত্যক্ত খাবারের মধ্যে আছে স্ট্যু, স্যুপ, বেকন বাটার, পুডিং, লেমন কার্ডসহ নানা পুষ্টিকর আর জিভে জল আনা কতো কতো পদ।

Liverpool Echo পত্রিকা লিখেছে খাবারের অপচয় দেখে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে তারা এই অভিনব খাবারের দোকান—‘ A "junk food" cafe has been set up by two women who are fed up with waste.’

অবশ্য আইডিয়াটা নতুন নয়। যুক্তরাজ্যে এরকম প্রথম রেস্তোরাঁটা খোলা খুলেছিলেন অ্যাডাম স্মিথ নামের এক ব্যক্তি। তবে এই দুই তরুণীর রেস্তোরাঁটার একটা বিশেষত্ব সবার নজর কেড়েছে। তা হলো, ওদের দোকানের খাবারের দাম ঠিক করা নেই। পেট পুরে খেয়ে দাম আপনি যা খুশি দিতে পারবেন।  

ওই দুই তরুণীর বক্তব্য হচ্ছে, এমন এক সময়ে শহরের বাসিন্দারা ৩৫ শতাংশ তাজা খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলছেন যখন দরিদ্রদের জন্য ফুডব্যাংকগুলো ধনীদের কাছ থেকে পরিত্যক্ত খাবার চেয়েও পাচ্ছে না।

গ্যাবির ভাষায়, “দুনিয়ার কোটি কোটি দরিদ্র মানুষ যখন না খেয়ে, আধ-পেটা খেয়ে দিন গুজরান করছে তখন ধনী দেশগুলোর নাগরিকরা কোটি কোটি পদের তাজা খাবার নষ্ট করছে, ডাস্টবিনে ফেলছে। এ বড়ো লজ্জার কথা। ’’

এবার জাতিসংঘের একটা পরিসংখ্যান জানাই। তাতেই গ্যাবির কথার সত্যতা মিলবে। সেখানে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে একদিকে প্রতি চার সেকেন্ডে ক্ষুধার কারণে একজন করে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিবছর ধনী দেশগুলো লোকেরা ১শ ৩০ কোটি টন তাজা খাবার অকারণে ময়লার ঝুড়িতে ফেলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।