ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

সোনায় মোড়া অন্ধকার ভবিষ্যত! (পর্ব-২)

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
সোনায় মোড়া অন্ধকার ভবিষ্যত! (পর্ব-২)

ঢাকা: ঘানা ও মালির মধ্যবর্তী বুর্কিনা ফাসোর বানি এলাকায় কয়েকটি সোনার খনি রয়েছে। আর এখানে যারা কাজ করেন তারা সবাই যে একই এলাকার বাসিন্দা তা নয়।



রাষ্ট্র সোনা উত্তোলনের জন্য বলতে গেলে সব মানুষকেই অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এক পরিবারের নারী পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরাও এ কাজে দেশটির বিভিন্ন খনিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন। অনেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এসে কাজ করেন।  

এক একটি সোনার খনি দু’শো ফুটেরও বেশি গভীর। খোঁড়াখুঁড়ির সময় মাটির তলদেশের পানিতে নেমেও কাজ করতে হয়। রাতেও ছেলেদের ঝুঁকি নিয়ে পানিতে নেমে কাজ করতে হয়।

বৃষ্টির দিনে অর্থাৎ জুলাই থেকে নভেম্বর মাসে জীবনের নিরাপত্তার জন্য খনি খননের কাজ নিষিদ্ধ থাকে। কারণ, এসময় খাদ বিপদজনকভাবে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বেশিরভাগ শ্রমিকই এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেন না।

দিনের শুরু থেকে শেষভাগ এখানেই কাটাতে হয় বলে তাদের সবকিছু খনিকে ঘিরেই।

শ্রমিকদের প্রার্থনার জন্য খনির আশেপাশেই ব্যবস্থা রয়েছে। খনিতে নামার বিপদজনকতা এড়াতে ও সোনা পাওয়ার জন্য তারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন।

বানি মাইনিং কমিউনিটিতে গত এক শতাব্দীতে ব্যবহৃত সায়নাইড, পারদ ও খনিতে ব্যবহৃত ক্ষতিকারক কেমিকেলের প্রভাবে আক্রান্ত শ্রমিকদের সংখ্যার উপর কোনো পরিসংখ্যান হয়নি।  

ক্রিভিক জানান, এখানকার খুব কম শ্রমিকই এ কাজের ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত।

এখানকার শ্রমিকদের জীবনকে ক্রিভিক আধুনিক দাসত্বের এক বিপদজনক গল্প বলে অভিহিত করেছেন। তবে এ কাজে বরাবরই তাদের আসতে হচ্ছে কারণ, সোনার বিপুল চাহিদা রয়েছে।

ক্রিভিক তার এ সিরিজ ছবিগুলোর নাম দিয়েছেন ‘ডিগিং দ্য ফিউচার’।

খনিতে কর্মরত শিশু-শ্রমিকদের কোনো বাস্তব ভবিষ্যৎ নেই। তারা শুধু নিয়তিকে পালন করে আসছে।

একটি সুন্দর জীবনের আশায় প্রচুর সোনা তোলা প্রয়োজন। শুধু এ বিশ্বাসেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।