ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন

আইনস্টাইনের জন্ম ও কার্ল মার্কসের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
আইনস্টাইনের জন্ম ও কার্ল মার্কসের প্রয়াণ আলবার্ট আইনস্টাইন ও কার্ল মার্কস

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৪ মার্চ, ২০১৭, মঙ্গলবার। ২৯ ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৬৪- স্যার স্যামুয়েল বেকার অ্যালবার্ট আফ্রিকার হ্রদ আবিষ্কার ও নামকরণ করেন।
১৮৯১- ইংলিশ চ্যানেলে প্রথম সাবমেরিন টেলিফোন লাইন স্থাপিত হয়।
১৯২৫- প্রথম ট্রান্স আটলান্টিক রেডিও সম্প্রচার সম্পন্ন।
১৯৮০- ইসলামী ইরানের সংসদ মজলিসে শুরার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯০- মিখাইল গর্বাচেভ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৯২- সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাভদা পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়।

জন্ম
১৮৭৯- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন।
জন্ম স্থান জার্মানি। সেখানকার একটি ছোট শহর উলমে এক ইহুদি পরিবারে মহান বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের জন্ম।
তার বাবা পেশায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। তাই মাঝে মাঝেই ছেলেকে নানা ধরনের খেলনা এনে দিতে পারতেন। শিশু আইনস্টাইনের বিচিত্র চরিত্রকে সেইদিন উপলব্ধি করা সম্ভব হয়নি তার অভিভাবক, তার শিক্ষকদের। স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে মাঝে মাঝেই অভিযোগ আসতো, পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া ছেলে, অমনোযোগী, আনমনা ইত্যাদি। এতে করে বেস বিরক্ত হতেন বাবা-মা। এছাড়া ক্লাসের কেউ তার সঙ্গী ছিল না। সবার শেষে পেছনের বেঞ্চে গিয়ে বসতেন এবং কিছু না কিছু ভাবতে থাকতেন। তার একমাত্র সঙ্গী ছিল মা। তিনি ভালো বেহালা বাজাতে পারতেন। আইনস্টাইন তার কাছে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের নানা সুর শুনতেন। এই বেহালা ছিল আইনস্টাইনের আজীবন কালের সঙ্গী। বাবাকে খুব বেশি একটা কাছে পেতেন না আইনস্টাইন; বাবা কারখানা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। এমনই এক পরিবেশে তার বড় হয়ে ওঠা। কে জানতো; এই ছেলেটি ইতিহাস হয়ে রইবে!
বিখ্যাত আপেক্ষিক তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য তিনি বিখ্যাত। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কিত গবেষণার জন্য ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান আইনস্টাইন।

১৯৬৫- ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা আমির খান।

মৃত্যু
১৮৮৩- প্রভাবশালী জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্কসবাদীয় প্রবক্তা কার্ল মার্কস।
পুরো নাম কার্ল হাইনরিশ মার্ক্স, জন্ম ৫ মে, ১৮১৮, মৃত্যু ১৪ মার্চ, ১৮৮৩। তিনি প্রভাবশালী জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্ক্সবাদের প্রবক্তা। জীবিত অবস্থায় সেভাবে পরিচিত না হলেও মৃত্যুর পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বিংশ শতাব্দিতে সমগ্র মানব সভ্যতা মার্ক্সের তত্ত্ব দ্বারা প্রবলভাবে আলোড়িত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতনের পর এ তত্ত্বের জনপ্রিয়তা কমে গেলেও তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে মার্ক্সবাদ এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশেও এই ধারার চর্চা রয়েছে।

১৯৯৫- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী উইলিয়াম আলফ্রেড ফোলার।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
আইএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।