ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

দৃশ্যটি বড়ই মমতার (ভিডিও)

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
দৃশ্যটি বড়ই মমতার (ভিডিও) সন্তানকে বুকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন পিতা/ ছবি বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন-বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: গল্পটি আসলে এমনই! বড়ই মমতামাখা! বুকের পাঁজরে ঠাঁই পেয়েছে প্রিয় সন্তান। আসন্ন অজানা বিপদের সব প্রকার সম্ভাবনা থেকে প্রিয় সন্তানকে বুকে আগলে রাখাই প্রতিটি পিতা-মাতারই অতি সহজাত প্রবৃত্তি।

এ দৃশ্যেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পথ ধরে এগিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ এমন মমতার দৃশ্যে চমকে যেতে হয়।

উপলব্ধির মর্মমূলে দৃশ্যটির সৌন্দর্য ক্রমশ অনুভূতির ডালপালা ছড়াতে থাকে।      

প্রকৃতিতে তখন সন্ধ্যা নামার প্রস্তুতি। আকাশের ভাঁজে ভাঁজে হঠাৎ ধেয়ে আসা কালো মেঘগুলো আসন্ন সন্ধ্যাকে আরও গাঢ় করে তুলছিল। সন্ধ্যার এমন দ্রুত এগিয়ে আসা দেখে ভ্যান চালকের পায়ের প্যাডেল দ্বিগুণ গতিতে ঘোরে।

তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ছুটে চলায় এলো ক্ষণিক বিরতি। জানা গেলো, মাইজদিহি চা বাগানে ফুলছড়া গারো লাইনের অধিবাসী কামিলুস তার পাঁচ বছরের মেয়ে অর্ণিকাকে নিয়ে সাত্তার মিয়ার ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছেন। সন্তানকে বুকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন পিতা/ ছবি: বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন-বাংলানিউজ সুদৃঢ় মেহগুনি কাঠের উপর ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ভঙ্গিতে ছুটে চলেছেন কামিলুস। সন্তানটিও মমতার পরশ পেয়ে নিশ্চুপ ভঙ্গিমায় পড়ে রয়েছে পিতার ভালোবাসাময় পাঁজরের উপর।

আসলে দৃশ্যটি সাদামাটাভাবে দেখলে ধরা পড়বে, এক লোক তার মেয়েকে কোলে নিয়ে কিছু কাঠ কিনে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু অনুভূতির চোখ দিয়ে দৃশ্যটির দিকে তাকালে সেখানে হয়তো পাওয়া যাবে- পিতার স্নেহের পরশ, জীবনের একেকটি গন্তব্যে পৌঁছানোর নীরব তাগিদ, শ্রমজীবী মানুষের দৈনিক-সংগ্রাম প্রভৃতি।

এই দৃশ্যে শুধুই তিনটি চরিত্র। পিতা, কন্যা আর ভ্যান চালক। যা সমানভাবে, সমানগুরুত্বে উপস্থিত। প্রত্যেকেই নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছার অভিযাত্রায় অগ্রগামী।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
বিবিবি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।