ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

গরু কাটলে কসাই, মাছ কাটলে মশাই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
গরু কাটলে কসাই, মাছ কাটলে মশাই মাছ কাটছে রিপন। ছবি: সাজ্জাদুর রহমান

লক্ষ্মীপুর : আলতা, টিকলি, সোনার চুড়ি দিয়ে মন ভরানো না গেলেও বাজার থেকে মাছ কেটে ঘরে নিলে মন পাওয়া যায় ঘরণীর। হাটের মাছ কেটে-কুটে বাড়ি নিলে বউ খুশি হন। বেশির ভাগ গৃহকর্তাই বাজার থেকে মাছ কেটে বউকে খুশি করান। বউ’র মন পেতে কখনো-কখনো লাইনেও দাঁড়াতে হয় তাদের।- রসিকতার ছলে এমন কথা বলেন রিপন।

লক্ষ্মীপুর শহরের মাছ বাজারে মাছ কুটে জীবিকা চালান তিনি। থাকেন পৌর বাঞ্চানগরে।

দশ বছর বয়সে নানার হাত ধরে মাছ কুটতে শুরু করেন। বেশ কয়েক বছর ধরে এ পেশায় আছেন তিনি। দীর্ঘদিন একই পেশায় থেকে তিনি এতোটাই দক্ষ হয়ে উঠেছেন যে, যতো বড় মাছই হোক-যেনো নিমিশেই শেষ।

মাছ কাটার সময় রিপনের রসিকতার জবাবে দুষ্টুমি করে পাশ থেকে একজন বলেন- ও ভাই গরু কাটলে কসাই হয়, মাছ কাটলে কি?
মিষ্টি হেসে রিপন বলেন, গরু কাটলে কসাই, মাছ কাটলে মশাই।

তার মাছ কাটার দক্ষতা দেখে সত্যিই তাকে মাছ কাটার মাস্টার মনে হয়।  মাছ কাটছে রিপন।  ছবি: সাজ্জাদুর রহমান

এসময় এক গৃহকর্তা বলেন, সংসারে অনেক কাজ। বাচ্চাদের পড়ালেখা, চাকরি-তাই বাজার থেকে মাছ কেটে বাড়ি নিয়ে যাই। এতে গৃহিনীর কাজের চাপ কমে। খুশিতো হবেই।

রিপন ছাড়াও ওই হাটে মাছ কাটেন রাজু, বাবুল ও সিদ্দিক। তারা প্রতিদিন মাছ কেটে গৃহিনীদের কাজের চাপ কমান। শুধু গৃহিনীরাই নন; ব্যচেলররাও চাপ মুক্ত থাকেন।

রিপনদের পুঁজি ধারালো বটি, কাঠের মুগুর, স্টিলের চামুচ আর বালতি। চামুচ দিয়ে মাছের আঁশ ছাড়িয়ে নেন। বটি দিয়ে মাছ কাটেন। বালতিতে মাছের আঁশ জমিয়ে রাখেন। পরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেন। বড় মাছ কাটতে মুগুরের ব্যবহার করেন তারা। ছোট মাছ ১০ টাকা, বড় মাছ কেটে-কুটে দিতে নেন ২০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন প্রতি ‘মশাই’ করেন হাজার টাকার কাজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
জেডএম/

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।