পাশাপাশি যাদের কথা না বললেই নয়। দশম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকে বড় বাবা (ক্ষিরোদ বড়ুয়া) আমাকে বাড়ির কোনো কাজ করতে দিতেন না।
শুধু বলতো তিষা ‘পইত্ত ব গই’ (পড়তে বসো গিয়ে)। প্রতিদিন ভোরে উঠে যথারীতি সকাল সাত-আটটা পর্যন্ত পড়তাম। এরপর প্রাইভেটে চলে যেতাম। প্রাইভেট শেষ করে স্কুলের ক্লাসে যোগ দিতাম। এরপর আবার প্রাইভেট পড়তে যেতাম। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের সমর স্যার এবং মদন স্যার আমাকে সবসময় বলতেন, ‘তোকে জিপিএ-৫ পেতে হবে। ’ এ লক্ষ্যে আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। সন্ধ্যায় প্রাইভেট শেষ করে বাড়িতে এসে যথারীতি পড়তে বসতাম। রাত ১১টা অবধি পড়তাম। তবে রাতের চেয়ে দিনের বেলায় পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। স্কুল বন্ধ থাকলে বাড়িতে সারাদিনই পড়তাম।
বড় মা (সুশান্তি বড়ুয়া), বাবা (মিলন বড়ুয়া) ও মা (রিন্দু বড়ুয়া) ছোটবেলায় থেকেই আমাকে লেখাপড়ায় উৎসাহিত করতেন। পাশাপাশি বড় ভাইদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। এ অর্জনই আমার শেষ নয়, আমার লক্ষ্য একজন ডাক্তার হওয়া। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের যাতে চিকিৎসাসেবা দিতে পারি। আমি সবার আশীর্বাদ চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসবি/টিসি