ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

স্বপ্ন দেখার সাহস আরও বাড়িয়ে দিলো এ সাফল্য  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৭
স্বপ্ন দেখার সাহস আরও বাড়িয়ে দিলো এ সাফল্য   সুমাইয়া জোয়ার্দার মীম

আমি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর যখন জানতে পারলাম, আমি প্রতিটি বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছি তখন আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো ছিলো না। আমি প্রথম আমার ফলাফল আমার মাকে জানাই।

আমার সাফল্যের পেছনে যার অবদান ছিলো অপরিসীম। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম সফল চিকিৎসক হওয়ার।

আজ সে স্বপ্ন পূরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে আমার বাবা-মা, শিক্ষক ও বন্ধুদের অবদান। তারা সবসময় আমাকে সাহায্য করতেন।  

ভোরবেলা স্কুলে যাওয়ার সময় থেকে শুরু করে সারাদিন যে পরিশ্রম করতাম তা শুধু স্বপ্ন পূরণের জন্য। বাবা-মা ও পরিবারের স্বপ্ন আমার চিকিৎসক হওয়া। জানি না হতে পারবো কিনা। তবে সে স্বপ্ন দেখার সাহস আরও একটু বাড়িয়ে দিলো আমার এ সাফল্য।  

আমার জীবনের একটি বড় স্বপ্ন ছিলো ক্যাডেট কলেজে পড়ার। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যখন আমার ভাগ্যদেবী আমার সহায় ছিলেন না, তখন থেকেই আমি আরও বেশি পরিশ্রম করতাম। এসএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর সেই স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার কষ্ট কিছুটা হলেও দূর হলো।  

জীবনে বড় হতে হলে পরিশ্রম করতে হয়, আমি তা করেছি। যার ফল আমি পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পরিবার, শিক্ষক ও বন্ধুদের। যারা সবসময় আমাকে উৎসাহ দিতো, যাদের অনুপ্রেরণায় আজ আমি এখানে আসতে পেরেছি। আমার অনুভূতি আজ ডানা মেলে উড়ে যাওয়া মুক্ত পাখির মতো যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।