ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

রাত জেগে পড়ার একমাত্র সঙ্গী ছিলো আম্মু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৭
রাত জেগে পড়ার একমাত্র সঙ্গী ছিলো আম্মু যারিন তাসনিয়া রাফি

আমি যারিন তাসনিয়া রাফি বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি।

আমার এ সাফল্যের পেছনে আমার পিতা মো. জাকির হোসেন খান সেলিম এবং মাতা ইসরাত জাহানের ভূমিকা অতুলনীয়। দুই ভাই-বোনের মধ্যে আমি ছোট বলে আমিই যেনো তাদের সব আশা-ভরসা।

যখন পড়াশোনায় খুব ব্যস্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়তাম আমার মা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, সর্বদাই সাহস দিয়েছেন। আর আম্মুই ছিলো আমার রাত জেগে পড়ার একমাত্র সঙ্গী।  

আমার দাদা আবুল বাসার খান একজন চিকিৎসক ছিলেন তাই আমার বাবা ও দাদির অনেক ইচ্ছে যে, আমিও যেনো চিকিৎসক হই। দাদার মতো মানুষের সেবা করি। আমার দাদি মাহামুদা খানমের বড় আদরের নাতনি আমি। যখনই বাইরে থেকে বাসায় আসি আগে দাদিকে দেখতে চাই।

আমার অন্যান্য বড় ভাই-বোনেরা যারা এখনও বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তারাও সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

আম্মু সবসময় বলতো, তোর অমুক আপু বা ভাইয়া এতো ভালো ফল করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে— তখন খুব ভয় করতো যে, আমিও কি পারবো ভালো ফল করতে! দেখতে দেখতে আমিও আব্বু-আম্মুর আশানুরূপ ফল করেছি।  

বড় আপুদের মুখে শুনতাম, এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক কঠিন কিন্তু আব্বু-আম্মুর অনুপ্রেরণায় আজ আমি তা অর্জন করেছি।  

এখন বাবা আর দাদির ইচ্ছে অনুযায়ী ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। যেনো স্বার্থহীনভাবে মানুষের সেবা করতে পারি। তাই এইসএসসিতে আরও বেশি পরিশ্রম করতে চাই।

আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা করি, যেনো আমার পিতা-মাতা সর্বদা আমার পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেয়, তাহলে পিএসসি-জেএসসি ও এসএসসি’র জিপিএ-৫ পাওয়ার মতো আমার সব লক্ষ্য পূরণ হবে।

প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়ো তাহলে এখনকার কষ্ট ও পরিশ্রম সারজীবনকে সুন্দরময় করবে, এটা যেমন নিজে বিশ্বাস করি অন্যকেও বলি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।