ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

পরিশ্রম করেছি বলেই ভালো রেজাল্ট নিয়ে আশাবাদী ছিলাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
পরিশ্রম করেছি বলেই ভালো রেজাল্ট নিয়ে আশাবাদী ছিলাম রিশাত শওকত সুপ্তি

আমি রিশাত শওকত সুপ্তি। ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল বসুন্ধরা শাখা থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম। গত ৮ মার্চ আমার পরীক্ষা শেষ হয়। এই পরীক্ষার জন্য অন্য সব ছাত্রছাত্রীর মতো আমিও অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি। 

আমি খুব এক্সিলেন্ট শিক্ষার্থী নই, আবার খুব খারাপও নই। আমি বিশেষ কোনো প্রতিভা কিংবা মেধায় বিশ্বাসী নই।

আমি বিশ্বাস করি, যে যে রকম অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রম করবে সে ঠিক সে রকম ফলাফল পাবে। আর যার সাক্ষী আমি নিজেই। ৪ মে এসএসসির ফল প্রকাশ হলো। দু’মাস ধরে আমার রেজাল্ট কেমন হবে তা নিয়ে মনে মনে ভয় লাগলেও ঠিক তেমনটা লাগেনি, যতটা লেগেছিল রেজাল্ট দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকে।  

এই দু’মাস আমি যতবারই রেজাল্ট নিয়ে ভাবতাম তেমন কোনো ভয় লাগত না। আশাবাদী ছিলাম রেজাল্ট ভালো হবে। আব্বু-আম্মু বলেছিলেন রেজাল্ট ভালো হলে আমি যা চাইবো, তা-ই দেবেন। আর যদি ভালো না হয়, তাহলে তো কিছুই পাবো না। বান্ধবীদের সামনে তখন আমি কীভাবে দাঁড়াবো, বুঝতে পারছিলাম না। কোনো ব্যাকআপ প্ল্যানও ছিল না আমার। এসময় আমি যতকিছুই ভেবেছি তার মধ্যে শুধু রেজাল্ট কেমন হবে সে বিষয়টি নিয়েই ভেবেছি বেশি। নামাজ পড়ে দোয়া করেছি অনেক।  

রেজাল্ট যেদিন দিলো সেদিন সকালে আমার এক বান্ধবীর ফোনে ঘুম ভাঙল। ও বলল, গোল্ডেনের সংখ্যা এবার নাকি অনেক কম। কান্না চলে আসছিল ওর কথা শুনে। খারাপ রেজাল্ট হলে আমার কী অবস্থা হবে সেটা ভাবতেই পারছিলাম না। আল্লাহর ওপর আমার অনেক ভরসা, আমি তার কাছে চেয়ে কিছু পাইনি এমনটি হয়নি। অবশেষে রেজাল্ট পেলাম দুপুর ১টা ১৭ মিনিটের দিকে। রেজাল্ট শুনে আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিলেন। বেশি খুশি হলে যা হয় আর কি।  

আমি আমার আম্মু-আব্বুকে হতাশ করিনি। এজন্য তারাও আমার সব ইচ্ছে পূরণ করেছেন। একটা কথাই বলবো- নিজের সেরাটি দিয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। তিনি কখনই নিরাশ করবেন না। আর যদিও করেন তাহলে সেটা আমাদের ভালোর জন্যই করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।