ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

মহাশূন্যের অতি আশ্চর‌্য পাঁচ বিষয়

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
মহাশূন্যের অতি আশ্চর‌্য পাঁচ বিষয় মহাশূন্যের অতি আশ্চর‌্য পাঁচ বিষয়

ঢাকা: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠিকই বলেছিলেন, বিপুলা এ বিশ্বের কতোটুকুই জানি! বিশ্ব ছাড়িয়ে সেখানে যদি হয় মহাবিশ্ব— তবে তো কথাই নেই!

আমাদের খালি চোখে পৃথিবীর আকাশ, নদী, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত খুব বিশাল মনে হলেও— এ অনন্ত নক্ষত্রবীথির মাঝে তা অতি অতি নগণ্য!

মহাশূন্য এমনিতেই চিরকাল রহস্যময় আর বিস্ময় জাগানিয়া হয়ে রয়ে গিয়েছে মানুষের কাছে। এরপরও যদি বলা হয়, রহস্যের চেয়েও রহস্যময় কিংবা আরও বিস্ময়কর! জেনে নিই এমন কিছু অতি আশ্চর‌্য বিষয় যা হার মানাবে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকেও।

আরেক পৃথিবী
1
সৌরমণ্ডলের বাইরে আবর্তন করা নক্ষত্রকে বলা হয় ‘এক্সোপ্লানেট’। বিজ্ঞানীদের জোর ধারণা, এই ভিনগ্রহের কেউ কেউ পৃথিবীর মতো। সেখানেও রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব। পানি ও মেঘলা আবহাওয়ার কেপলার-৬২ই (Kepler-62e) এরকমই একটি গ্রহ, যা এখন পর‌্যন্ত খোঁজ পাওয়া ‘মোস্ট আর্থ লাইক প্লানেট’। ভাবতেই কেমন লাগে, দূরে কোথাও রয়েছে প্রিয় পৃথিবীর মতো আরেক পৃথিবী!

মানুষ যখন নুডলস
2
ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর হলো মহাশূন্যের সবচেয়ে বিচিত্র ও অদ্ভুত বস্তুর মধ্যে একটি। ব্ল্যাক হোলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতোটাই বেশি যে, এর মধ্য থেকে কারও বের হওয়ার ক্ষমতা নেই— এমনকি আরেক শক্তিশালী বস্তু আলোরও।
যদি কোনো নভোচারী দূর্ভাগ্যবশত ব্ল্যাক হোলের মুখে পড়ে যায় তাহলেই শেষ। কোনোদিন বেরোতে তো পারবেই না বরং মাধ্যাকর্ষণের টানে তার শরীর হয়ে যাবে নুডলসের মতো লম্বা। লম্বা হতে হতে একসময় টুকরো টুকরো হয়ে ছিঁড়ে যাবে। সৌভাগ্যের বিষয়, পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম ব্ল্যাক হোলটি তিন হাজার আলোক বর্ষ দূরে।

ডাইনোসরের যুগে ভ্রমণ
3
আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি এবং টাইম ট্রাভেলের কথা আমরা কম-বেশি সবাই শুনেছি। সেখানে, বৃহদাকার বস্তুরা সময় ও কালের চারটি মিলিত ডাইমনেশনে বাঁক নেয়। কিছু বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে এভাবে ভেবেছেন যে, মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থান ও সময়ের মধ্যে ব্ল্যাক হোল সময় ও স্থানকে খুব বেশি পেচিয়ে ফেলতে পারে। এতে ‘ওর্মহোলস’ বা কীটের গর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  
যাদের মধ্যে অন্য সময়ে ভ্রমণের ইচ্ছা প্রবল, তাদের বলে দেওয়া ভালো— এটি নিছকই তাত্ত্বিক সমীকরণ! ওর্মহোলসের সন্ধান বাস্তবে এখনও মেলেনি।

রক এন রোল
4
সৌরমণ্ডলে অবিরাম ছুটে চলা পাথর খণ্ডগুলোকে বলা হয়ে থাকে গ্রহাণু। এরা বেশিরভাগ মঙ্গল ও জুপিটার গ্রহের অরবিটের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে। বৃহদাকার গ্রহাণুদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল, এখন পর‌্যন্ত ২৬টির সন্ধান মিলেছে। চওড়ায় এরা প্রায় ২শ কিমি লম্বা। এক কিমি চওড়ার রয়েছে হাজারখানেক এবং এর চেয়ে ছোট আয়তনের সংখ্যা লাখের অধিক।

রোদেলা দিন
5
গত প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছর ধরে সূর‌্য আমাদের আলো দিচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূয্যিমামা এভাবে আলো বিলিয়ে যাবেন আরও পাঁচ বিলিয়ন বছর। সুবিশাল এই উজ্জ্বল বলের মূল শক্তি কিন্তু সামান্য হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস। এই দুইয়ে মিলে কী তাণ্ডবটাই না চালাচ্ছে!

বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।