ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বুড়িগঙ্গা তীরের ঢাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
বুড়িগঙ্গা তীরের ঢাকা লন্ডনের ডিকিনসন প্রকাশনীর ‘প্যানোরামা অব ঢাকা‘ গ্রন্থে ১৮৪০ সালের বুড়িগঙ্গাসহ নগরীর চিত্র। চট্টগ্রামস্থ জিয়া জাদুঘরের ভারপ্রাপ্ত উপ-কিপার মো. মতিয়ার রহমানের সৌজন্যে প্রাপ্ত।

নদী ও নগর সহোদর। বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী মিশে আছে বুড়িগঙ্গা; মিশেছে ঢাকার শরীর ও সত্তায়। যেমন মিশে রয়েছে লন্ডন আর টেমস, বাগদাদ আর দজলা-ফোরাত, কলকাতা আর গঙ্গা। আর মিশে আছে ঢাকার নওয়াবরা; তাদের ঐতিহাসিক আবাসস্থল আহসান মঞ্জিল। নওয়াবরা নেই, তাদের মঞ্জিল এখন জাদুঘর। ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা ঢাকার অতীত দিনের বর্ণবহুল স্মৃতি বুকে নিয়ে।

বুড়িগঙ্গা  নদীর তীরে ঢাকার রাজনৈতিক চর্চার আদি কেন্দ্রস্থল আহসান মঞ্জিলের অবস্থান। এলাকাটি কুমারটুলি নামে পরিচিত ।

আঠার শতকের শুরুতে জালালপুর (ফরিদপুর-বরিশাল) পরগণার খ্যাতনামা জমিদার শেখ ইনায়েত উল্লাহ এখানে একটি বাগান বাড়ি তৈরি করেন। তাঁর পুত্র মতিউল্লাহ সেটি ফরাসি বণিকদের নিকট বিক্রি করে দেন এবং ফরাসিরা এখানে তাদের বাণিজ্য কুঠি তৈরি করেন। ১৮৩০ সালে খাজা আলীমুল্লাহ ফরাসিদের নিকট থেকে কুঠিটি কিনে সংস্কার করে নিজের বাসভবনে পরিণত করেন। ১৮৪০ সালে লন্ডনের ডিকিনসন প্রকাশনী’র প্রকাশিত ‘প্যানোরামা অব ঢাকা’র দৃশ্যে খাজা আলীমুল্লাহর বাড়িটির একটি রঙিন চিত্র দেখা যায়।

খাজা আলীমুল্লাহর পুত্র নওয়াব আব্দুল গণি ফরাসী কুঠির পূর্ব পার্শ্বে ১৮৫৯ সালে একটি জাঁকালো প্রাসাদ ভবন তৈরি শুরু করেন যা ১৮৬৯ সালে শেষ হয়। তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামে প্রাসাদ ভবনটির নামকরণ করেন ‘আহসান মঞ্জিল’। ১৮৭০ এর দশকে নওয়াব খাজা আহসানুল্লাহর ক্যামেরায় তোলা চিত্র থেকে তৎকালীন এ প্রাসাদের যেসব চিত্র পাওয়া যায় তাতে দু’টি ভবন দেখা যায়। পূর্ব দিকের নব নির্মিত ভবনকে বলা হতো রঙমহল এবং পশ্চিম দিকের ফরাসি আমলে নির্মিত অংশকে বলা হতো অন্দর মহল। ১৯০২ সালে আহসান মঞ্জিলের সামনে নবাব সলিমুল্লাহ

১৮৮৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রবল টর্ণেডোর আঘাতে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে ফরাসি আমলে নির্মিত অন্দর মহলটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে পড়ায় সেটা নতুন করে নির্মাণ করতে হয়। টর্ণেডোর পর ক্ষতিগ্রস্ত আহসান মঞ্জিল পুনঃনির্মাণের সময় প্রাসাদ ভবনের উপরের সুদৃশ্য গম্বুজটি এতে সংযোজন করা হয়। তৎকালে আহসান মঞ্জিলের ন্যায় জাঁকালো ইমারত ঢাকায় আর একটিও ছিল না। ইন্দো-ইউরোপীয় ধ্রুপদী স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যে নির্মিত আহসান মঞ্জিলের প্রভাব এতদঞ্চলে পরবর্তীকালে নির্মিত ইমারতগুলোতে পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে এর খোলা সিঁড়ি এবং গম্বুজ বহু স্থাপত্যেই অনুকরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের নিকট অতীতের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথেই আহসান মঞ্জিল বিশেষভাবে জড়িত। ঊনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে পরবর্তী প্রায় একশ’ বছর ধরে পূর্ব বাংলার মুসলমানদের মূলত এই প্রাসাদ থেকেই নেতৃত্ব দেয়া হতো। রাজনৈতিক ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় কার্যকলাপেও তারা এই নওয়াব বাড়ি থেকে নির্দেশনা  ও সহায়তা পেতেন। খাজা আলীমুল্লাহ ও নওয়াব আব্দুল গণি ইংরেজ সাহেবদের সহায়তায় ঢাকায় মিউনিসিপ্যালিটি প্রতিষ্ঠা এবং এর মাধ্যমে ঢাকার প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা মাদ্রাসা (বর্তমানে কবি নজরুল কলেজ) প্রতিষ্ঠা এবং মিটফোর্ট হাসপাতাল উন্নয়নে তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।

ঢাকাবাসীর জন্য প্রথম ফিল্টার করা পানীয় জল সরবরাহের জন্য নওয়াব খাজা আব্দুল গণি তৎকালীন আড়াই লাখ টাকা ব্যয় করে জলের কল স্থাপন করেন। ১৮৭৪ সালের ৬ এপ্রিল ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক ঢাকায় এসে পানির কলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ওই গভর্নর জেনারেলের সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নওয়াব আব্দুল গণি ঢাকার গণ্যমান্যদের সহায়তায় ঢাকার ফরাসগঞ্জে অবস্থিত নর্থব্রুক হল (লালকুঠি) নির্মাণ করেন। ১৮৭৮ সালে নওয়াবের দানে পানীয় জলের কল চালু করা হয় এবং নওয়াবের অভিপ্রায় অনুসারে তিনযুগ ধরে ঢাকায় বিনা মূল্যে কলের জল সরবরাহ করা হতো। ১৯৭৫ সালে আহসান মঞ্জিল

নওয়াব খাজা আহসানুল্লাহ সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যয় করে ঢাকায় প্রথম বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেন। ১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আহসান মঞ্জিলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এটির উদ্বোধন করা হয়। তখন থেকে ব্রিটিশ আমলের শেষ দিন পর্যন্ত ঢাকার লোকেরা বিনামূল্যে বিজলী বাতি ভোগ করতো।   নওয়াব খাজা আব্দুল গণির দানে স্থাপিত পানীয় জলের কল তৎকালীন অবনতিশীল ঢাকাকে উন্নতির দিকে মোড় ঘুড়িয়ে দেয় এবং নওয়াব আহসানুল্লাহর দানে স্থাপিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঢাকাকে আধুনিকতার দিকে ধাবিত করে। তৎকালে ব্রিটিশ ভারতের বড়লাট, ছোট লাটসহ  যতজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও রাজকীয় অতিথি ঢাকায় আসেন তাদের প্রায় সবাই আহসান মঞ্জিলে ঢাকার নওয়াবের আতিথ্য গ্রহণ করেন।

১৮৯৯ সালে নওয়াব আহসানুল্লাহ ও নওয়াব খাজা ইউসুফজান ‘ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেন যা আজো সগৌরবে বিদ্যমান।   নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকার ক্রীড়ামোদীদের নিয়ে ১৯০৭ সালে ‘নওয়াব ইউনিয়ন ক্লাব’ নামে একটি হকি দল গঠন করেন। এ দলেরই উত্তরসূরী হিসেবে খাজা সুলেমান কদরের গঠিত ব্যাচেলর্স ক্লাব তৎকালে কলকাতায় ব্যাটন কাপ খেলায় রানার্স আপ হয়েছিল।

ঢাকায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল প্রতিষ্ঠায় নওয়াব আহসানুল্লাহ যাবতীয় খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ১৯০১ সালে এজন্য সরকারের নিকট ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দেন যা দ্বারা তখন আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে উন্নত হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ পেয়েছে।

ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও  হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার জন্য নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। ১৯১১ সালের ১৯ আগস্ট কার্জন হলে পুর্ব বাংলার লে: গভর্নর স্যার ল্যান্সলট হেয়ার এর বিদায় এবং স্যার স্টুয়ার্ট বেইলী’র স্বাগত জানানো অনুষ্ঠানে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। ১৯১২ সালে বঙ্গ বিভাগ রদের পর নওয়াবের আহবানে বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ জানুয়ারি মাসে ঢাকা সফরে আসেন। নওয়াব সলিমুল্লাহ ৩১ জানুয়ারি তাঁর শাহবাগ বাগান বাড়িতে ঘটা করে বড় লাটকে দেয়া সংবর্ধনা কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জোরে-সোরে তুলে ধরেন। বঙ্গ বিভাগ রদের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ বড়লাট সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে  এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী  ভূমিকা পালন করে আসছে।
ঢাকার নওয়াব পরিবারের খাজা মোহাম্মদ ইউসুফজান একনাগাড়ে ২০ বছর ঢাকা মিউনিসিপ্যালটির সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯১২ সালে ঢাকার পয়:নিস্কাশন প্রণালী আধুনিকীকরণের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ১০ বছর ধরে ৪০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে কাজটি সম্পন্ন করেন। পাখির চোখে আহসান মঞ্জিল

এ দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়নে নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ যে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যার ফলে বর্তমানে আলিয়া মাদ্রাসার মতো আধুনিক ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। নওয়াব সলিমুল্লাহর প্রচেষ্টায়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ খোলা হয়েছিল। তিনি এদেশের নারী শিক্ষারও একজন প্রবক্তা ছিলেন এবং এ বিষয়ে অনেক কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নওয়াব আব্দুল গণি ও নওয়াব আহসানুল্লাহ ছিলেন এদেশের শ্রেষ্ঠ দানবীর। এতদঞ্চলে এমন কোন ধর্মীয়, শিক্ষা ও জন কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে নওয়াব খাজা আহসানুল্লাহ’র  দানের ছোয়া লাগে  নি। তিনি সেকালে ৫০ লক্ষ টাকার বেশী অকাতরে দান করে গেছেন।

আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষার বাইরে রাজনীতিতে ঢাকার নওয়াবরা অবিভক্ত বঙ্গদেশে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।     নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ বাংলার সুবিধা বঞ্চিত জনগণ বিশেষ করে মুসলিমদের অধিকার আদায়ের কথা  বিবেচনা করে লর্ড কার্জনের বঙ্গ বিভাগ পরিকল্পনা সমর্থন করেন। এর ফলে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর পূর্ববঙ্গ ও আসাম  নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়। ঢাকা হয় এ দেশের রাজধানী এবং চট্টগ্রাম হয় প্রধান সমুদ্র বন্দর। বিরোধিতার মুখে বঙ্গ বিভাগ টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে নওয়াব সলিমুল্লাহ মুসলিমদের সংঘবদ্ধ করার প্রয়াস পান। তিনি বঙ্গ বিভাগ সংঘটিত হওয়ার দিনেই এদেশের নেতৃস্থানীয় মুসলিমদের নিয়ে ঢাকার নর্থব্রুক হলে নিজের সভাপতিত্বে সভা করে ‘মোহামেডান প্রভিন্সিয়াল ইউনিয়ন’ নামে একটি রাজনৈতিক সমিতি গঠন করেন। এটাই ছিল বাঙালি মুসলমানদের প্রথম রাজনৈতিক প্লাটফর্ম।

বঙ্গ বিভাগের মাধ্যমে নতুন রাজধানী হওয়ায় ঢাকা শহর ও পুর্ববঙ্গে উন্নয়নের জোয়ার আসে। প্রশাসনের প্রয়োজনে ঢাকায় উপযুক্ত দালান-কোঠা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে উপযুক্ত হাট-বাজার গড়ে উঠতে থাকে। নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিমদের অধিকার রক্ষা এবং বঙ্গ বিভাগের পক্ষে সর্বভারতীয় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করেন। এ কে ফজলুল হকের সহায়তায় নওয়াব বাহাদুর তাঁর পরিকল্পনাটি ভারতের দূর-দূরান্তে থাকা মুসলিম নেতৃবৃন্দের নিকট পাঠিয়ে মতামত সংগ্রহ করেন। অবশেষে এই লক্ষ্যে ১৯০৬ সালের ২৭, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় শাহবাগ বাগান বাড়িতে নওয়াব সাহেব ‘অল ইন্ডিয়া মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্স’  এর সম্মেলন আয়োজন করেন। উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রায় দুই হাজার নেতা ও  সুধী এতে যোগদান করেন। ঐ সম্মেলনের শেষ পর্বে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডেলিগেটদের এক সভায় নওয়াব সলিমুল্লাহ তাঁর পরিকল্পিত রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন। নওয়াবের প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় এবং ভারতীয় মুসলমানদের প্রথম সফল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ’ আত্মপ্রকাশ করে।

বহমান বুড়িগঙ্গা কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনো চলছে। দুষণ, দখল আর হানা কবলিত হয়ে ঢাকাবাসীর প্রিয় নদী ক্রমেই ত্রস্ত ও বিপন্ন হলেও বিরাম নেই চলার। ইতিহাস, সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ রূপে বুড়িগঙ্গা এবং বুড়িগঙ্গার তীরের ঢাকার নওয়াবরা ও তাদের আবাসস্থল আহসান মঞ্জিল ঐতিহ্যের স্বর্ণালী অংশীদার হয়ে জ্বলজ্বল করছে জাতিসত্তার সার্বভৌম আকাশে।  

ঢাকা এখন অনেক বড় হয়েছে। মুঘল বাগান, রমনা, ব্রিটিশ স্মৃতি মেখে তিলোত্তমা মেগাসিটি। দক্ষিণের বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে উত্তরের তুরাগ, বংশাই স্পর্শী ঢাকার শরীর ও আত্মায় এখনো নিত্য দোলা দেয় ঐতিহ্য: আমাদের বুড়িগঙ্গা, আমাদের আহসান মঞ্জিল। প্রাণের শহর ঢাকা এভাবেই নদীর সমান্তরাল এগিয়ে চলে কাল-কালান্তরের অনিঃশেষ যাত্রাপথে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।