ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসে এই দিনে

সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

২৪ আগস্ট, ২০১৭, বৃহস্পতিবার। ০৯ ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
১৮১৪ -  ব্রিটিশ সেনাদল ওয়াশিংটন ডিসি অধিকার করে এবং হোয়াইট হাউস জ্বালিয়ে দেয়।
১৮২১ -  মেক্সিকো স্পেনের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে ।
১৮৭৫-  ক্যাপ্টেন ম্যাথুওয়েব প্রথম ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন সাঁতার কেটে।
১৯১৪ -  প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান বাহিনী নামুর দখল করে।
১৯২৯ -  বায়তুল মুকাদ্দাসে নুদবা প্রাচীর আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৪৪ -  জার্মান বাহিনীর হাত থেকে প্যারিস মুক্ত।
১৯৪৯ -  উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) গঠিত হয়।
১৯৬৬ -  ভারতীয় সাঁতারু মিহির সেন জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করেন।
১৯৮৯ -  ৪৫ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন তাদেউজ মাজোউইকি।
১৯৯১ -  তুর্ক মেনিয়ার সার্বভৌমত্ব ঘোষণা।
১৯৯১ -  পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

জন্ম
১৮৯০ - আর্জেন্টাইন সাহিত্যিক হোর্হে লুই বোর্হেস।
১৮৯৩ - সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে।
১৯২৯ - ইয়াসির আরাফাত, ফিলিস্তিনী নেতা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।

মৃত্যু
১৯২৭ -  মিশরের জাতীয় নেতা সাদ জগলুল পাশা।
১৯৫৪ - ব্রাজিলিয়ান স্বৈরশাসক গেতুলিও বার্গাস।
১৯৮৮ -  সাংবাদিক, সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীন। তিনি ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল লেখক। উপন্যাস, ছোট গল্প ও মননশীল প্রবন্ধ লিখে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তার রচিত ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ বাংলার সাহিত্যের একটি অনন্য গ্রন্থ। এছাড়াও তার রচিত বেশ কিছু গ্রন্থ ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, মারাঠি, জাপানি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি দৈনিক সুলতানের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। এরপর সেচ বিভাগ ও বিমান ঘাঁটিতে কয়েক মাস চাকরির পর তিনি আবার সাংবাদিকতা শুরু করেন। এ সময় তিনি দৈনিক আজাদে যোগ দেন। ১৯৪৮ সালের অক্টোবরে পত্রিকাটির সহকারী সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালে আজাদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তিনি প্রকাশনা ব্যবসা সংস্থা কিতাবিস্তান প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫০-৫১ সালে তিনি সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। কর্মজীবনে তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে উপন্যাসে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে পদক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।