ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বের অসাধারণ ৭ ঝরনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৭
বিশ্বের অসাধারণ ৭ ঝরনা ফাউন্টেন অব ওয়েলথ

ঢাকা: বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কৃত্রিম ঝরনা তৈরির প্রচলন মানব ইতিহাসে বেশ পুরনো। ধারণা করা হয়, প্রাচীন রোম জাতি মানব কল্যাণের প্রতীক হিসেবে প্রথম কৃত্রিম ঝরনা তৈরির প্রচলন শুরু করে। পাথরের তৈরি এসব ঝরনায় প্রাধান্য পেতো প্রাচীন দেব-দেবী, রাজা-রানিদের ইতিহাস ও বিভিন্ন লোককথা।

বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় অসাধারণ সব ডিজাইন, দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য ও হরেক রকম রঙের দেখা মেলে মানুষের তৈরি কৃত্রিম ঝরনাগুলোতে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অসাধারণ কিছু কৃত্রিম ঝরনা নিয়ে আজকের আয়োজন।


টেপ ফাউন্টেন, স্পেনস্পেনের টেপ ফাউন্টেন দেখলেই বোঝা যাবে, অসাধারণ সৃষ্টিশীল নকশায় তৈরি হয়েছে ঝরনাটি। দেখলে মনে হবে যেন বিশালাকৃতির একটা পানির কল শূন্যের উপর ভাসছে। আর অজানা কোনো উৎস থেকে শত শত গ্যালন পানি বেরিয়ে আসছে কলের মুখ থেকে। আসলে বিশাল এই পানির কলটির যে প্রান্ত দিয়ে পানি বের হয় সেখানেই লুকানো আছে এর ভারবহনের পিলারটি। টেপ ফাউন্টেন স্পেনের মেনর্কা দ্বীপে অবস্থিত।
সর্ভোস্কি ফাউন্টেন, অস্ট্রিয়া
অস্ট্রিয়ার দৃষ্টিনন্দন শহর ওয়াটেনের প্রবেশমুখেই দাঁড়িয়ে আছে মানুষের মুখমণ্ডল আকৃতির এই বিশাল ঝরনাটি। একটি থিমপার্কের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে ঝরনাটি তৈরি করা হয়।
পাইনাপেল ফাউন্টেন
আনারসের আকৃতির অদ্ভুত এ ঝরনা দেখতে প্রতিবছর হাজারো পর্যটক ও ফটোগ্রাফার ভিড় করেন চার্লস্টনের ওয়াটার ফ্রন্ট পার্কে। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কারণে শহরের সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয় এ স্থানে। ঝরনাটির আনারস আকৃতি পর্যটকদের প্রতি শহরবাসীর অতিথেয়তা ও উষ্ণ অভ্যর্থনার প্রতীক।
বন্ধুত্বের ঝরনা, রাশিয়া
সোভিয়েত আমলে স্থাপিত এ ঝরনাটির নাম ফ্রেন্ডশিপ অব দ্য পিপলস। বিশাল আকৃতির এ ঝরনাটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সব জাতি ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। কেজি টোপুরাডজি ও জেডি কন্সটান্টিনোভস্কি স্থপতিদ্বয় এখানে ১৬টি তরুণীর মূর্তি তৈরি করেন। ঝলমলে সোনালি রঙের এ মূর্তিগুলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন জাতির জাতীয় পোশাক পরিহিত। রাশিয়ার মস্কো শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এ ঝরনাটি একইসঙ্গে কাছে টেনে আনে পর্যটকদের, সেই সঙ্গে তুলে ধরে সেদেশের উজ্জ্বল ইতিহাস।
ফাউন্টেন অব ওয়েলথ
১৯৯৮ সাল পর্যন্ত গিনেজ বুক অব রেকর্ডের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ কৃত্রিম ঝরনা ছিলো সিঙ্গাপুরের সানটেক শহরে অবস্থিত এ ঝরনাটি। ১৯৯৫ সালে তৈরি এ ঝরনাটিকে শহরের দীর্ঘায়ু ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এ স্থানে বছরের বিভিন্ন সময় লেজার শো ও মিউজিক কনসার্টের আয়জন করা হয়।

মুনলাইট রেইনবো ফাউন্টেন
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত এ ঝরনাটির দৈর্ঘ্য ৪৭২৪ ফুট। একটি ব্যস্ত সেতুর দু’পাশে বিশেষ ধরনের এলইডি নজেল সংযুক্ত পাইপের মাধ্যমে ১৯০ টন পানি নিক্ষেপ করে ঝরনাটি। নদীর পানিকে পুনরায় নদীতে ফেরত পাঠায় বলে এটিকে পরিবেশবান্ধব ঝরনা বলা হয়।
রাজা ফাহাদের ঝরনা
লোহিত সাগরের তীরে জেদ্দা শহরে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ঝরনাটি। সৌদি আরবের সাবেক রাজা ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজের সম্মানে এ ঝরনাটির নাম রাখা হয় কিং ফাহাদস ফাউন্টেন। ঝরনাটি মাটি থেকে ১০২৪ ফুট উঁচুতে পানি ছুড়তে সক্ষম। সমুদ্রের পানিকে ব্যবহার করা এ ঝরনা শতভাগ পরিবেশবান্ধব বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।