ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

যেভাবে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৭
যেভাবে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা যেভাবে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা

ঢাকা: বিকালে নাস্তার টেবিলে এক কাপ চায়ের সাথে সমুচা—এর সাথে আর কিছুর তুলনাই চলে না। দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, সমুচা-সিঙ্গারার নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। এবার গিনেস বুকে নাম লেখাতে যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য সংস্থা তৈরি করলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির নাম মুসলিম এইড ইউকে। গত ২২ আগস্ট বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি নাম লেখায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করা ঐ সমুচাটির ওজন ১৫৩.১ কেজি।

১২জন সেচ্ছাসেবীর সহায়তায় সমুচাটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ১০০ কেজি পেঁয়াজ, ২৫ কেজি রসুন, ১৫ কেজি ডাল, ৪৪ কেজি ময়দা ও বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় মসলা। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের ইস্ট লন্ডন প্রাঙ্গণে এর আয়োজন করা হয়। সমুচা তৈরির পুরোটা সময় পর্যবেক্ষণ করেন গিনেস বুকের বিচারকেরা। এছাড়া সমুচার স্বাদ ও মান পর্যবেক্ষণের জন্য উপস্থিত ছিলেন খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা।

যেভাবে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুচা

গিনেস বুকে নাম লেখাতে হলে কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করতে হয়েছে এর প্রস্তুতকারকদের। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক প্রবীণ প্যাটেল কয়েকটি শর্তের কথা জানান। তা হচ্ছে, সমুচাটি হতে হবে ত্রিকোণাকার। এতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে ময়দা, আলু, ডাল, পেঁয়াজ ও রসুন। ভাজার পর এর আকৃতির কোনো প্রকার পরিবর্তন হলে চলবে না। সেই সাথে সমুচাটি অবশ্যই হতে হবে মানুষের খাওয়ার উপযোগী। সমুচাটি দেখতে ও স্বাদে আসল সমুচার মতোই হতে হবে। ভাজার পর সম্পূর্ণ সমুচাটি খেয়ে শেষ করতে হবে। কোনো প্রকার অপচয় করা চলবে না।

বিশাল আকৃতির কড়াইতে তারজালের সাহায্যে ভাজা হয় সমুচাটি। এটি তৈরি করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময় লেগেছে ১৫ ঘণ্টা। এরপর সমুচাটি বিচারকেরা পরীক্ষা করে সবুজ সংকেত জানালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সনদ তুলে দেয়া হয় মুসলিম এইড ইউকে কর্তৃপক্ষের হাতে।

পরে সমুচাটি কয়েকশ টুকরো করে বিতরণ করা হয় সেখানকার গৃহহীন মানুষদের মাঝে।

সবচেয়ে বড় সমুচা তৈরির আগের রেকর্ডটি ছিলো ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড কলেজের। তাদের তৈরি সমুচার ওজন ছিলো ১১০ কেজি ৮০০ গ্রাম।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।